বিবাহিত জীবনে একে অপরের প্রশংসা করা কতটা জরুরী, জেনে নিন। | মনোবিদ কি বলছেন | Mental Health Awareness | Dr. Jayita Saha |
প্রথম প্রথম আমরা যখন কোনো সম্পর্কে যাই তখন আমরা সামনের মানুষটার প্রতিটা জিনিসকেই প্রশংসা করি। তার জামাকাপড়, সাজগোজ সব কিছুই আমাদের খুব প্রশংসনীয় বলে মনে হয়। কিন্তু যত দিন যায় আমরা এই প্রশংসা করা বন্ধ করে দিই। বিশেষত্ব বিয়ের পর আমরা একে ওপরকে প্রশংসা করতে প্রায় ভুলে যাই এবং সব কিছুই কেই খুব অবহেলা করে চলি।
সম্পর্কের কাউন্সিলিং এর ক্ষেত্রে অনেক সময়ই স্বামী বলে থাকেন যে, আমি যে আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি সেটা কি বলার জিনিস! কিন্তু হ্যাঁ বন্ধুরা এটা বলার জিনিস। না বললে যে আপনি ভালোবাসেন না সেটা নয়, কিন্তু বললে আপনার সঙ্গীর ভালোই লাগবে। আমরা যখন এই একে অপরের প্রশংসা করা বন্ধ করে দিই তখনই কিন্তু আমাদের মধ্যে একে অপরকে নিন্দা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আমরা একে অপরের ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই। আর এর ফলেই দুটো মানুষের মধ্যে মানসিক এবং সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। তখন শুধুমাত্র একটা ছাদের তোলায় থাকতে হয় বলে থাকা শুরু করি আমরা। যেমন, হোস্টেলে বন্ধুরা থাকে একসাথে থাকবে হবে বলে। ফলে আস্তে আস্তে বিয়েটাই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। একটা সময়ের পর একে অপরের সমালোচনা করতে করতে একে অপরকে আর সহ্য হয়না। আর সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আমরা খুব সহজেই মানুষের সাথে আলাপ করতে পারি, ফলে ধীরে ধীরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যতদিন আপনি আপনার সঙ্গীকে প্রশংসা করবেন মনে রাখবেন ততদিন আপনার সম্পর্কটা ভালো থাকবে এবং সুস্থ থাকবে।
তবে নিজের সঙ্গীকে প্রশংসা করার আগে নিজের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাসটা আনুন। অনেকেই আছেন সঙ্গীর উন্নতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। যার ফলে সম্পর্কের মধ্যে হিংসার সৃষ্টি হয়। অনেকেই মনে করেন যে, আমরা দুজনেই কাজ করে এলাম তাও বাড়ির কাজটা এসে আমাকেই করতে হয়। সবার আগে আমাদের ভাবতে হবে যে, সংসারে কাজটা শুধু মেয়েদের নয়। সংসারটা দুটো মানুষের তাই কাজটাও দুজনকেই করতে হবে। আর একটা বিশ্বাস জানেন তো, প্রশংসা না করলে সমালোচনারও কোনো মানে থাকে না।সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।