মাঝেমধ্যে কি বুকে বা পিঠে ব্যাথা হয়? কেন হয় ?সেই সময় কি করা উচিত?
একজন রোগীর শরীরে যেকোনো রকমের ব্যথা অসহ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যথা অনেকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। একটানা ছয় মাসের বেশি যদি তীব্র কোন ব্যথা বা যন্ত্রণা থাকে সেক্ষেত্রে শারীরিক অস্বস্তি সৃষ্টি হয়। জটিল পরিস্থিতিতে এই ব্যাথাকে বোঝা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। তবুও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ঠিক কিভাবে কোনখান থেকে আমাদের ব্যথা শুরু হচ্ছে। অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকের পিঠে কোন ব্যথা শুরু হলে সেটা শেষ পর্যন্ত বুকের কাছে আসছে। হতেই পারে হার্টের সমস্যা। আবার অনেক সময় অন্য কোন যন্ত্রণার কারণেও এমনটা ঘটে থাকে। যদি ডান দিকে এই ব্যথার সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার খুব একটা কারণ নেই। কারণ আমাদের হার্ট থাকে বাঁদিকে। সে ক্ষেত্রে হার্টের কোন সমস্যা হয় না। আর যদি ব্যথা বাঁদিকের পিঠ থেকে বুকের কাছে আসছে সেক্ষেত্রে অনেক সময় হতেও পারে হৃদরোগের কোন সমস্যা রয়েছে। তবে এই ব্যথা মূলত দেখা যায় ৩০ বছর থেকে ৬০ বছরের মানুষের মধ্যে বেশি হয়। তাই হৃদয়ের যত্ন নেওয়া বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে এমনটা নয় যে ৩০ বছরের নিচে কারোর হৃদয়ের সমস্যা হতে পারে না। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানে সেটা খুব একটা স্বাভাবিক ঘটনা বলে পরিচিত নয়।
আবার অনেক সময় হতে পারে যন্ত্রণা ঠিক পিঠের থেকে সৃষ্টি হচ্ছে না হয়তো পিঠের একটু উপরের অংশ ঘাড় থেকে সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেটা সামনে পর্যন্ত আসছে। অনেক ক্ষেত্রে সেটা স্পন্ডেলাইটিস এর সমস্যা ও হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজেকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার যন্ত্রণা ঠিক কোনখান থেকে শুরু হয়ে কতদূর পর্যন্ত আসছে।
অনেক ক্ষেত্রে বয়সকাল আমাদের শিরদারার বিভিন্ন হাড়ে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। সাধারণত বয়সকালে এমন যন্ত্রণার কারণ হয় শিরদাঁড়ার ওই বিশেষ হাড়ে টিবি অথবা ক্যান্সারের মত কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনেকে সেই ধরনের ক্রনিক ব্যথাকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। ফলে পরবর্তীকালে বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা স্বরবিটেড নামক এক বিশেষ ওষুধ সঙ্গে রাখতে বলেন। অনেক ক্ষেত্রে যদি মনে হয় হৃদরোগের সমস্যা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে এই ওষুধ জিভের তলায় দিয়ে রাখতে বলেন তারা। যদি হার্ট থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে কমে যাবে। যদি না কমে তাহলেও এই ওষুধ কোনরকম বিপদ ঘটাবে না। তবে ব্যথা যন্ত্রণা পুষে না রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার কথাই বলে থাকেন সমস্ত চিকিৎসক। এই ব্যাপারে বিস্তীর্ণ আলোচনা করেছেন ডক্টর এম. এম ঘটক।