বেশি রাত করে খাওয়ার অভ্যাস আছে? তাহলে সাবধান। জেনে নিন, কি কি ক্ষতি হতে পারে। | Health & Beauty Tips | Jinia De |
অনেকেই খুব গর্ব করে বলি যে, আমি রাত দশটায় চা খাই আর খাবার খেতে খেতে রাত বারোটা। কিন্তু আপনারা কি জানেন যে, এই বারোটায় খাওয়া কিভাবে আপনার শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে। অনেকে হয়তো অফিস থেকেই ফেরেন অনেক রাতে। তারা বলবেন যে, এসেই খেয়ে নেবো! পরিবারের লোকের সাথে একটু কথাবার্তা বলবো না! দেখুন সেক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া করেও এই সব কাজ করা যায়। কিংবা খেতে খেতেও গল্প করা যায়। সময় মতন, একটু তাড়াতাড়ি খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুব জুরুরি। নাহলে আমাদের শরীরের নানান ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
• বেশি রাতে খাবার খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
১) আমরা অনেকেই রাতে ভারী খাবার খাই, সারাদিন অফিসে থাকার ফলে ঠিক মত খাওয়া-দাওয়া হয়না। তাই বাড়িতে ফিরে পেট ভরে খায় অনেকেই। আর সেই খাবার খেতে খেতে অনেকেই বেশি রাত করে দেন। যেটা একদমই ঠিক না। দেখবেন যত ডায়েটিশিয়ান আছেন তারা ডায়েট চার্ট করার সময় রাতে খাবারটা রাত ৮ টার মধ্যে খেয়ে নিতে বলেন। যদি সেটা সম্ভব না হয় অন্তত ৯টার মধ্যে খেয়ে নিন। তারপর বসে টিভি দেখুন, আড্ডা দিন। কারণ আমাদের শরীরে রাতে খাবার হজম করার জন্যে খাওয়ার পর অন্তত দু ঘন্টা জেগে থাকা উচিৎ। সেক্ষেত্রে আপনি যদি রাতে ১১ টায় বা ১২ টায় খান তাহলে শুতে শুতে অনেক দেরি হবে। আর বেশি রাত করে খেয়ে কেউ বিশেষ বসে থাকে না। শুয়ে পড়ে বা হ্যালান দিয়ে বসে টিভি দেখে। এটাও ঠিক না। কারণ আমাদের পাকস্থলীতে যে ভারী খাবারটি গেছে সেটা হজম করার জন্যে যে হরমোন নির্গত হয় তা ঠিক করে নির্গত হতে পারে না। ফলে মাঝরাতে বুক জ্বালা করে। আমরা উঠে অ্যান্টাসিড খাই। আর রোজ এই হজমের ওষুধ খেতে খেতে খাদ্যনালির এবং পাকস্থলীর ক্ষতি করে, অনেক সময় ক্যান্সারও হতে পারে।
২) রাতের খাবারটা তাড়াতাড়ি খাওয়ার পর মাঝরাতে যদি খিদে পায় তাহলে এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিন। অনেকেই ওজন কমানোর জন্যে দই খান। সেটাও রাতে খিদে পেলে দই বা দইয়ের ঘোল খান। অনেকে ওজন কমানোর হয়ে দইয়ের ঘরে জিরে মিশিয়ে খান। সেটাও খুব ভালো অভ্যাস। আশা করি বন্ধুরা বেশি রাতে খাবার খেলে আমাদের শরীরের পক্ষে সেটা কতটা ক্ষতিকর নিশ্চই বুঝতে পারছেন। নিজের শরীরের যত্ন নিন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।