এপিসোড -২ কিভাবে হাঁটুর ক্ষয় রোধ করা সম্ভব!
আজকের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের আলোচনা নি রিপ্লেস্মেন্ট কিভাবে এড়ানো সম্ভব বা আদেও কি এড়ানো সম্ভব? সমস্ত বিবরণ শুনে নেব ডক্টর অভিক রায়ের থেকে। নি রিপ্লেসমেন্ট এর মূল কারণ হলো হাঁটু ক্ষয়ে যাওয়া। কিন্তু কিভাবে এই হাঁটু ক্ষয় রোধ করা স্বভাব! বলা যেতে পারে পুরোপুরি এই হাঁটু ক্ষয় আটকানো সম্ভব নয়। তাহলে উপায়! অস্টিওআর্থারাইটিস একটি ডি জেনারেশন পদ্ধতি সেটা আমরা আগের পর্বেই আলোচনা করেছে। এবং কি কি সিমটম দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
তবে এই হাটু ক্ষয় রোধ করা সম্ভব আমাদের লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করলেই। এর মাধ্যমে হাঁটু ডি জেনারেশন একেবারে বন্ধ করে দেবে এমনটা নয় কিন্তু বেশ কিছুটা দেরিতে আসবে আপনার এই সমস্যা। তার জন্য প্রথমেই করতে হবে সিঁড়িতে চড়া বন্ধ এবং মাটিতে বসা বন্ধ। সে ক্ষেত্রে অনেকেই বলতে পারেন যে মাটিতে তাহলে কি পা মুরে বসা সম্ভব নয়। বা আমি যদি খাটের ওপর বাবু হয়ে বসি তাহলে! কোন উঁচু জায়গায় পা মুড়ে বসা সম্ভব। কারণ সে ক্ষেত্রে আমাদের উঁচু থেকে নিচুতে নামতে হবে। কিন্তু মাটিতে বসলে সে ক্ষেত্রে আমাদের উঁচুতে উঠতে হয়। আর তাতেই প্রেসার পরে আমাদের হাঁটুতে। আর হাঁটুতে এই অতিরিক্ত চাপ দেওয়াটাই আমাদের বন্ধ করতে হবে। একিরকম সমস্যা দেখা দেয় সিঁড়িতে চড়ার সময়। দ্বিতীয়তঃ করা যেতে পারে আমাদের হাঁটুর এই যে কার্টিলেজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জন্য কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। তৃতীয়ত আমাদের ওজনের সমস্যা। ওজনটা একটু কমালেই হাঁটুর উপর বাড়তি চাপ পড়বেনা। এছাড়া ফিজিওথেরাপির সাহায্যে হাঁটুর আশেপাশের মাসল গুলোকে একটু সচল করার চেষ্টা করা যেতে পারে।যদি অতিরিক্ত ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসক পেইন কিলারের কথা বলে থাকেন কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা কিন্তু আল্টিমেট সমস্যার সমাধান নয়। মনে করা যাক আপনার কার্টিলেজ কিছুটা পরিমাণ নষ্ট হয়ে গেছে এই অবস্থাতে এই অবস্থাতে গিয়ে কি আগে থেকে রক্ষা করার কোন উপায় থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে না। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা আপনার যন্ত্রণা সীমিত সময়ের জন্য বন্ধ করতে পারেন ইনজেকশনের মাধ্যমে।
বর্তমানে কিছু এডভান্স টেকনিক বেরিয়েছে যাদের মধ্যে অন্যতম সেম সেল। তবে এটি ভীষণ খরচ সাপেক্ষ এবং সময়ের ব্যাপার। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি এখনো পর্যন্ত নেই। দ্বিতীয় আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে যেখানে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যে কাটিলেজ রয়েছে অর্থাৎ যেগুলি ব্যবহৃত হয় না সেগুলি হাঁটুর ওই হয়ে যাওয়া কার্টিলেজের সঙ্গে রি জেনারেট করে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রেও একই সমস্যা সময়ের ব্যাপার। এবং ভীষণ উন্নত পরিসেবা প্রয়োজন। আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে অস্টিওটোমি যেটা বহু বছর ধরে প্রচলিত। এক্ষেত্রে পায়ের যে অংশে ওজনটা বেশি পড়ে এই অংশ থেকে ওজনটা বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে এতকিছুর পরেও যে সমস্যা একেবারেই মিটে যাবে এমনটা নয়। কাটিলেট আমাদের ক্ষয়ে যেতেই থাকে এবং যত বয়স বাড়বে তত আরো বেশি করে হয়ে যাবে। হয়তো কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে জীবনযাত্রা পরিবর্তনের জন্য কিন্তু বন্ধ হবে না। যে অংশের ডি জেনারেশন শুরু হয়ে যায় সেটা কোন ভাবেই বন্ধ করা সম্ভব নয়। হাঁটুর এই সমস্যা থেকে কোনদিনই মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়? হাঁটু ক্ষয়ে যেতে শুরু করলে কি টোটাল দিয়ে রিপ্লেসমেন্টটি একমাত্র উপায়? একেবারেই না। আর্টিফিশিয়াল ক্যাটিলেজ দিয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে পরবর্তী পর্বে সবিস্তারে আলোচনা করা হবে।
যদি এই পর্ব নিয়ে বিশেষ কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই নিচের লিংকে ক্লিক করুন ।সেই সঙ্গে Bengal Fusion চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ।