'Asthma' র চিকিৎসা পদ্ধতি কি এবং In Healer এর প্রয়োজনীতা কতটা? | Asthma | Dr. Soumya Das |

 অ্যাসমা একটা বংশগত এলার্জিজনিত রোগ। আমাদের যে শ্বাসনালী নাক থেকে ফুসফুস পর্যন্ত, সেটা লজ্জাবতী লতার মত ধুলোবালি ছুঁলেই সেটা গুটিয়ে যায়। সেটা বিছানার চাদর ছাড়ার ফলে হোক, অথবা ধূপকাঠির ধোয়া, মশা মারার ধূপ, আরশোলার পায়খানা, ফুলের রেনু, গাড়ির ধোঁয়া, সুগন্ধি, ধানের তুস, পুরনো বই-খাতা ঝাড়া, বন্ধ ঘর অনেক দিন পরে খোলা গরম থেকে ঠান্ডা আবার ঠান্ডা থেকে গরম, হঠাৎ বৃষ্টি হওয়া, কান্না-হাসি-দুঃখ, টেনশন ইত্যাদি ইত্যাদি। অতিরিক্ত টেনশন করলে এই রোগটা বাড়ে।

allergy-g528f83b1c_1920_0.jpg

• আমাদের শরীরে এই সমস্ত জিনিস নাক দিয়ে ঢুকলে সেটা আমাদের শরীর চায় বের করে দিতে। যার ফলে তখন হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া হয়। আর যখন পারে না তখন শ্বাসনালী লজ্জাবতী লতার মত নুয়িয়ে পড়ে। আর তখন নাক বন্ধ হয়ে যায় ফলে কথাটা নাকীনাকি শোনায়, অনেকের নাক বন্ধ হয়ে গিয়ে মাথা ব্যথা করে, টন্সিল ফুলে ওঠে, শুকনো কাশি হয়, বুকে সাইসাই শব্দ আর খুব বাড়াবাড়ি হলে দমের কষ্ট হয়। শুকনো কাশি কেন হয় কারণ সর্দি বসেও না, নির্গত হয়না তখন আমাদের শরীর চায় কাশির মাধ্যমে সেটা বের করে দিতে। সাইসাই শব্দ কেন হয়, কারণ আমাদের শ্বাসনালী বুজে আসে তখন ওই সরু শ্বাসনালী দিয়ে হওয়া যাওয়ার সময় সাইসাই শব্দ হয়। দমের কষ্ট হয় কারণ আমাদের শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে বাতাস যায় কিন্তু শরীর পুরোমাত্রায় অক্সিজেন পায়না তখন দমের কষ্ট হয় বিশেষ করে দৌড়ানোর সময়। তাহলে শুধুমাত্র শ্বাসের কষ্টই অ্যাসমা নয়, নাক বন্ধ হয়ে গিয়ে মাথা ব্যথা, শুকনো কাশি, সাইসাই শব্দ, ইত্যাদি অ্যাসমার লক্ষণ।

asthma-g97b12645c_1920_0.jpg

• ইনহেলার হলো একমাত্র ওষুধ। যেটা সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং দ্রুত নিরাময় দেয়। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যদি ট্যাবলেট দেওয়া হয় তাহলে সেটা অনেকটা সময়সাপেক্ষ্য। ট্যাবলেট পেটের ভিতরে যাবে সেটা পেতে শোষিত হবে তারপর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়বে এবং তারপর ফুসফুসে যাবে। ইনহেলারের ক্ষেত্রে সরাসরি ফুসফুসে কাজ করে। এই সমস্যা অনেক বিখ্যাত মানুষের আছে, খেলোয়াড় থেকে অভিনেতা সবার মধ্যেই এই সমস্যা আছে। এটা খুব স্বাভাবিক একটা সমস্যা, চিন্তার কোনো কারণ নেই। যদি নিয়মিত ওষুধ নেওয়া যায় এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা যায় তাহলে অনেকটা ভালো থাকা যায়। জীবনযাত্রার পরিবর্তন মানে, ধুলোবালি থেকে দূরে থাকা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, খেয়ে উঠে শুয়ে না পড়া, নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা এবং ঘরে যেন আরশোলা না থাকে। আরশোলা আরও অনেক বেশি ক্ষতিকর। নিয়মিত ওষুধ খান এবং নিজেদের যত্ন নিন।

medicine-g5bcfc23ce_1920_0.jpg

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। 

 

এই বিষয়ে  আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll