সেন্ট জনস গির্জা
সেন্ট জনস গির্জা (St John's Church) তৈরি হয় বিভিন্ন মানুষের দানে এবং কিছুটা লটারি করে তোলা ১৭৮৪-এর ৮ এপ্রিল একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়৷ হেনরি ক্রেইটন লিখেছেন যে, প্রাচীন গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে চার্চ তৈরির জন্য নিয়ে আসা হয় মার্বেল পাথর৷ গ্রিক স্থাপত্য রীতিতে লন্ডনের ওয়াকব্লকের সেন্ট স্টিফেন চার্চের আদলে তৈরি গির্জাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় সেন্ট জন দ্য ব্যপটিস্টের জন্মদিনে, ১৭৮৭-এর ২৪ জুন। সেজন্য গির্জার নাম হয় সেন্ট জনস চার্চ। পুরো পাথরের তৈরি বলে লোকমুখে নাম হয়ে যায় ‘পাথুরে গির্জা’৷ ভিতরে আসবাবপত্র ও পাথরের বিভিন্ন মূর্তির সঙ্গে রয়েছে জার্মান চিত্রশিল্পী জোহান জোফানির ১৭৮৩ সালে আঁকা বিতর্কিত যিশু খ্রিস্টের লাস্ট সাপার ছবিটাও।
এই চার্চের বাগানে শায়িত রয়েছেন কলকাতার তথাকথিত প্রতিষ্ঠাতা জব চার্নক। ল্যাটিন ভাষায় সমাধি ফলকে লেখা তাঁর মৃত্যু তারিখ ১০ জানুয়ারি, ১৬৯২। অষ্টভূজাকৃতি মুরিশ-স্টাইলের সমাধিটি বানিয়েছিলেন তাঁর প্রথম মেয়ে মেরির স্বামী চার্লস আয়ার। এই সৌধ বানানোর জন্য চেন্নাইয়ের কাছে পল্লভরম থেকে আনীত হয়েছিল পাথর, যার নামকরণই করা হয়েছিল চার্নকাইট। এই সৌধেই শায়িত আছেন জব চার্নকের দুই কন্যা মেরি ও ক্যাথরিন।লম্বা কলামগুলি গির্জার ভবনটিকে চারদিকে ফ্রেম করে এবং প্রবেশদ্বারটি একটি সুন্দর পোর্টিকোর মধ্য দিয়ে। মেঝেটি গৌড় থেকে আনা নীল-ধূসর মার্বেলের বিরল আভা। বড় জানালা রঙিন কাচের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলোকে ফিল্টার করতে দেয়।
এমনই বিভিন্ন তথ্য বিশদে জানতে আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion News Time টিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নিচে দেওয়া লিঙ্ক ক্লিক করুন।