আনন্দময়ী মন্দির

আনন্দময়ী মন্দির হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার একটি শহর সোমরাবাজারে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মাকে উৎসর্গ করা হয়েছে,হুগলি জেলার সোমড়া অঞ্চলের মা আনন্দময়ীর মহিমা বেশ অবাক করার মতো। মহাকালী পূজিত হন ভৈরবী হিসেবে। সম্পূর্ণ টেরাকোটার মন্দিরে মায়ের আদল একেবারেই জগৎজননী স্বরূপ। কথায় বলে, মা আনন্দময়ীর তিন বোন অর্থাৎ নিস্তারিণী এবং হরসুন্দরী কয়েক কিলোমিটার জায়গার মধ্যেই তাদের স্থাপনা করা হয়। তবে আনন্দময়ী মায়ের প্রতিষ্ঠাতা জমিদার শ্রী বীরেস্বর মিত্র মুস্তাফি। স্বপ্নাদেশ পেয়েই কষ্ঠি পাথরের এই মূর্তি গঙ্গার ধারেই সম্পূর্ণ আড়ম্বরে স্থাপন করেন তিনি। তবে আনন্দময়ীর মূর্তিতে রয়েছে বিশেষত্ব, তিনি ভৈরবী এবং পঞ্চমুণ্ডের আসনে মহাদেবের উপর অধিষ্ঠিতা।

1_1_0.jpg

সোমরাবাজারের আনন্দময়ী মন্দিরটি হিন্দু এবং ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীর এক অনন্য মিশ্রণের সাথে একটি সুন্দর সাদা কাঠামো। মন্দিরটি ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত এবং সারা বছর প্রচুর সংখ্যক ভক্তকে আকর্ষণ করে।শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মা যেখানে একবার আধ্যাত্মিকতার উপর বক্তৃতা দিয়েছিলেন সেই স্থানে মন্দিরটি নির্মিত বলে মনে করা হয়। মন্দিরে একটি প্রধান প্রার্থনা হল রয়েছে যেখানে ভক্তরা তাদের প্রার্থনা করতে পারেন এবং শ্রী শ্রী আনন্দময়ী মায়ের আশীর্বাদ পেতে পারেন।জনশ্রুতি রয়েছে, কাশী যাত্রার সময় নাকি রানি রাসমণি গঙ্গাবক্ষে এই স্থান দিয়েই যাত্রা করছিলেন। একঝলকেই এই মন্দির মনে ধরে তাঁর। শুরুতেই পঞ্চরত্নের মন্দির এবং দুই দিকে মহাকাল পাহারায় ঘিরে রেখেছেন মা আনন্দময়ীকে। সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে এমন সুনিপুণ টেরাকোটার মন্দির হাতে গুণে পাঁচটি মেলে। পার্থক্য রয়েছে মন্দিরের চুড়া প্রসঙ্গেও, ২৫টি চূড়া বেষ্টিত এই মন্দির একেবারেই দূর থেকে তখন দেখা যেত। 

2_1_0.jpg

মন্দিরের একটি বড় প্রাঙ্গণ এবং একটি সুন্দর বাগান রয়েছে যেখানে ভক্তরা বিশ্রাম ও ধ্যান করতে পারেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ ভক্তিমূলক গান এবং আধ্যাত্মিকতার উপর আলোচনা সহ নিয়মিত অনুষ্ঠান এবং অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।সোমরাবাজারের আনন্দময়ী মন্দির আধ্যাত্মিক সাধক এবং শহরে আসা পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। এটি প্রতিদিন সকাল 6 টা থেকে রাত 8 টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

 

এই ব্যাপারে বিশদ জানতে আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion News Time  সাবস্ক্রাইব করুন এবং নিচের লিংকটি ক্লিক করুন।
 

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll