ময়দান বা গড়ের মাঠ হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বৃহত্তম নগরাঞ্চলীয় উদ্যান
ময়দান বা গড়ের মাঠ হল পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বৃহত্তম নগরাঞ্চলীয় উদ্যান। এটি একটি বিরাট মাঠ পলাশীর যুদ্ধে জয়লাভের এক বছর পর ১৭৫৮ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গোবিন্দপুর গ্রামের কেন্দ্রস্থলে নতুন ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের নির্মাণকার্য শুরু করে। উক্ত গ্রামের বাসিন্দাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং তালতলা, কুমারটুলি ও শোভাবাজার অঞ্চলে জমি দেওয়া হয়। ১৭৭৭ সালে দুর্গনির্মাণের কাজ শেষ হয়। “যে ব্যাঘ্র-সংকুল জঙ্গলটি চৌরঙ্গী গ্রাম থেকে নদীকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল, সেই জঙ্গলটি কেটে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। এরই ফলে কলকাতার গৌরব ময়দানের বিস্তৃর্ণ তৃণক্ষেত্রটির সৃষ্টি হয়। এই মুক্ত প্রাঙ্গণের উদ্ভব এবং দক্ষিণের বসতি অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা খালটি বুজিয়ে দেওয়ার ফলে ইউরোপীয় বাসিন্দারা দুর্গের আবদ্ধ সংকীর্ণ পরিমণ্ডল পরিত্যাগ করতে শুরু করেন। অবশ্য ১৭৪৬ সাল থেকেই চৌরঙ্গী অঞ্চলে বাসিন্দাদের সরে আসা শুরু হয়েছিল।
প্রথমদিকে পাঁচ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট ময়দান গড়ে তোলা হয়েছিল সেনাবাহিনীর প্যারেড গ্রাউন্ড হিসেবে।ইউরোপীয়রা ময়দানের আশেপাশে বসতি স্থাপন করতে শুরু করলে, ভারতীয় এই অঞ্চল পরিত্যাগ করেন। ধনী পরিবারগুলির মধ্যে দেব পরিবার শোভাবাজারে, ঠাকুর পরিবার জোড়াসাঁকো ও পাথুরিয়াঘাটায় এবং ঘোষাল পরিবার ভূকৈলাসে (খিদিরপুর) চলে যায়।ময়দান গঠনের সময় থেকেই এটি সেনা সম্পত্তি। সেনাবাহিনীই ময়দানের মালিক। তবে ময়দানের প্রশাসন পুলিশের হাতে ন্যস্ত। একাধিক দায়িত্ব পালনের সঙ্গে পুলিশকে ময়দানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দিকটিও সামলাতে হয়। জানা যায়, ১৮৬০-এর দশক থেকেই ময়দান ভারতীয় ও ইউরোপীন চোরেদের আড্ডা।আইনত (১৮৪৭ সালের ১৬ নং আইন অনুযায়ী) দুর্গ ও ময়দান নগর কর্তৃপক্ষের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার বাইরে অবস্থিত
এ ব্যাপারে বিশদে জানতে আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion News Time সাবস্ক্রাইব করুন এবং নিচের লিংকটি ক্লিক করুন।