রান্নাঘরের পাঁচটি মসলা উপাদান এবং পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে রান্নাঘরই যথেষ্ট। কারণ আমাদের রান্নাঘরে এমন কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরকে ফিট রাখতে ভীষণভাবে উপকারী। এমন কিছু কিছু মসলা রয়েছে যেগুলো রান্নায় দিলে তো সাদ দ্বিগুণ হয়ে যায় তার পাশাপাশি সেই সমস্ত মসলা নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে। আজ তেমনই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মসলার আলোচনা করব।
প্রথমেই যে জিনিসটার কথা বলব তার নাম হলো আদা। নিরামিষ কিংবা আমিষ দুটো রান্নাতেই মারাত্মক স্বাদ বাড়িয়ে দেয় আদা। তবে জানো কি আদা, নিজেই একটা ওষুধ। ব্যথা যন্ত্রণা সারাতে আদার ভূমিকা অনস্বীকার্য। যেকোনো ধরনের ব্যথা যেমন হাত-পা মাথা ব্যথা এমন কি পেট ব্যথা। অনেক সময় দেখা যায় ঋতুস্রাবের সময় মেয়েদের পেটে ভীষণ যন্ত্রণা হয়। তাকে যদি আদার জল খাওয়ানো যায় তাহলে সেই মারাত্মক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার আদার জল একটা বড় পাত্রে নিয়ে এটাকে সামান্য গরম করে একটা রুমাল বা তোয়ালে ভালো করে তাতে ভিজিয়ে নিয়ে এবং নিংড়ে নিয়ে ওই ব্যথার জায়গায় যদি দেওয়া যায় তাহলেও খুব আরাম পাওয়া যায়। এমনকি সর্দি কাশির সময় আদা চা আমাদের খুব ভালো লাগে খেতে। আদার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টি যেটা আমাদের শরীরকে সত্যিই ভীষণ উপকার দেয়।
দ্বিতীয় উপাদান হলো মেথি।মেথির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ম্যাগনেসিয়াম সোডিয়াম প্রোটিন জিংক কপার থাকে। এই মেথি ভেজানো জল যদি খাওয়া যায় তাহলে সুগার রোগীদের অনেকটা উপকার হয়। কারণ এটি সুগারের লেভেল কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যারা ওজন কমাতে চাও তাদের জন্যও কিন্তু মেথি ভীষণ উপকারী। পাশাপাশি কোলেস্টেরল কমাতেও কিন্তু মেথি ভিষণ ভালো ওষুধ। তবে মেথি শুধু যে শরীরের ভেতরেই কাজ করে এমনটা নয় আমরা চুল পড়ে যাওয়ার চুল অকালে পেকে যাওয়ার সমস্যায় ভুগি তাদের জন্যও কিন্তু মেথি ভীষণ ভালো। যদি নিয়মিত মেথির পেস্ট মাথায় লাগানো যায় চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে চোখের পলকে। তৃতীয় উপাদান হলো রসুন। আমিষ রান্নায় স্বাদ আর পাশাপাশি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতেও ভীষণ ভালো কাজ করে। রসুনের মধ্যে এলিসন নামক এক উপাদান রয়েছে সেটাই আসল কাজ করে। পাশাপাশি রসুন অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে। রসুন আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রত্যেকদিন যদি এক কোয়া করে রসুন খাওয়া যায় তাহলে আমাদের কোলেস্টেরলের পাশাপাশি আমাদের স্কিন সমস্যারও উপকার হবে। পাশাপাশি মুখের অরুচি কাটানো, ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানো এমনকি হৃদরোগের সমস্যার মোকাবিলার ক্ষেত্রেও রসুন ভীষণ ভালো কাজ করে।
চতুর্থ উপাদানের নাম হল হলুদ। এর মধ্যে কারকিউমিন থাকে। সবচেয়ে পুরনো এবং সবথেকে প্রথম অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যদি বলা যায় তাহলে সেটা হলো হলুদ। প্রত্যেকদিন যদি এক টুকরো হলুদ খাওয়া যায় তাহলে আমাদের শরীরের ভেতর থেকে বিভিন্ন জীবাণু নাশ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কাঁচা হল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কিন্তু সাহায্য করে। এমনকি ব্রুনবা ফুসকুরের সমস্যা থাকলেও প্রত্যেকদিন হলুদ খেলে সেটা মিটে যায়। সর্বশেষ উপাদান হলো দারচিনি। এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল আমাদের হজম ক্ষমতাকে ঠিক রাখা। প্রত্যেকদিন যদি দারচিনির জল খাওয়া যায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দারচিনির জল আমাদের হৃদ যন্ত্রের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আমাদের ত্বক অনেক বেশি সুন্দর করে তোলে। রান্না ঘরেই এমন কিছু উপাদান থাকে যার সঠিক ব্যবহার হয়তো আমরা জানিনা অথচ এই উপাদান গুলোই কিন্তু আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ভীষণ ভালো কাজ করে।
এই ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিংকটি ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion.
