হতাশাগ্রস্থ মানুষ নিজেকে এবং অন্যকে কিভাবে দেখে? কি ভাবে? | মনোবিদ কি বলছেন | Cognitive Theory | Jatiya Saha | Psychologist
জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সবাই কমবেশি অনেক সময়ই হতাশার মুখোমুখি হয়েছি। তবে আমাদের মধ্যে কিছুজন এই হতাশাকে কাটিয়ে উঠতে পারে, আবার আমাদের মধ্যে কিছু মানুষ আছেন যারা এই হতাশার মধ্যে দিয়েই জীবন যাপন করে। ভাবেন যে, আমার জীবনে আর কিছু সম্ভব নয়, আমার দ্বারা কিছু হবে না, আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার; এই সমস্ত ভাবনাগুলো সে আস্তে আস্তে নিজের মধ্যে বৃদ্ধি করতে শুরু করে এবং নিজেকে সম্পূর্ন বাইরের জগত থেকে গুটি নেয়। অন্য মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু জীবন তো একটাই এবং এই সমস্যা অবসন্নতা এগুলো থেকেই আমাদের জীবনের যে আসল সৌন্দর্য সেটাকে চিনতে হবে। এই বিষয়ে আজকে আমরা জানবো কগনিটিভ থিওরি সম্পর্কে।
•কগনিটিভ থিওরি:
ডিপ্রেশনের একটা থিওরি আছে যেটা হলো এই কগনিটিভ থিওরি। এই থিওরি দিয়েছেন অ্যারেন বেক। এই তত্ত্বের মূল বিষয়বস্তু হলো, আমি নিজের সম্পর্কে কি ভাবি? অন্যের সম্পর্কে কি ভাবি আর নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কি ভাবি। বুঝতেই পারছেন বন্ধুরা এই পরিস্থিতিতে আমরা আশাহীনতায়, অসহায় এবং নিষ্কার্মতায় ভুগি। আর এই সময় আমরা ভাবি, আমার পক্ষে আর কিছু সম্ভব নয়। আমার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কোনো আশা নেই। কোনো রকম ইতিবাচক অনুভূতি নেই। আর এখন থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। এটাকেই কগনিটিভ ট্রায়ার্ড বলা হয়।
• এর উপায় কি?
যদি কাউকে দেখেন আগের মত কথা বলছে না। বা আগের মত খাওয়া-দাওয়া করছে না। সারাদিন মন মরা হয়েই থাকছে। তাহলে তার সাথে কথা বলুন। হয়তো সে ডিপ্রেশনের শিকার। এক্ষেত্রে যদি দুদিন কোথাও ঘুড়ে আয় বলে সাজেশন দিন। আর যদি তার ঘুড়ে আসার পরেও মন খারাপ কমছে না, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার সমস্যাকে অবহেলা করবেন না বা সে ইচ্ছে করে করছে এটাও ভাববেন না।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।