নোমোফোবিয়া- বর্তমানে এই সমস্যা অধিকাংশ মানুষকে গ্রাস করছে, কিভাবে বুঝবেন?
আপনারা নোমো ফোবিয়ায় আক্রান্ত নয় তো! বর্তমানে কিন্তু এই সমস্যা অধিকাংশ মানুষকেই গ্রাস করেছে। কিন্তু কি এই নোমোফোবিয়া। বলা যেতে পারে বর্তমানে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। বর্তমানে আমরা দেখতে পাই একটা মানুষ এই ফোনে বুদ হয়ে আছে। শিশুদের বলে থাকি যে এত মোবাইল ফোন ঘাটা কেন? কিন্তু ছোটরা আমাদের বড়দের থেকেই শিখছে। আমরা বড়রা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেই ঢুকে রয়েছে। বাইরের জগৎটাকে চিনছি না এবং ছোটদেরও চেনাচ্ছি না। এই সব সময় মোবাইল হাতে থাকা এবং এই থেকে যে ফোবিয়া শুরু হয় তাকেই বলা হয় নোমোফোবিয়া।
মনে করা যাক আমরা একসাথে অনেক বন্ধুরা মিলে গল্প করছি। কিন্তু মাঝে মাঝেই আমাদের হাত চলে যাচ্ছে ফোনের দিকে। কেউ কিছু মেসেজ পাঠাল নাকি কেউ কিছু ফটো আপলোড করলো এই জিনিসটা সব সময় আমাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। এটাই কিন্তু এই অসুখের প্রধান লক্ষণ। সকলের মাঝে থেকেও কিন্তু আমরা মোবাইলটাকেই আগে এগিয়ে নিচ্ছি হাতে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত সময় মোবাইলে কাটানোর জন্য আমাদের একাগ্রতা নষ্ট হচ্ছে। কোন কাজ মন দিয়ে করতেই পারছি না আমরা। সব সময় মাথায় ঘুরছে কখন মোবাইল ফোনটা একটু হাতে নেব। এই নোমোফোবিয়া রোগটা মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে আমাদের সমাজে। বিশেষ করে যারা শিশু যারা ছোট তারা বুঝতে পারছে না এটা এক ধরনের রোগ। তাদের ক্রিয়েটিভ আইডিয়াগুলো ওখানেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের নিজেদেরকে এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যতটা কম সম্ভব মোবাইল ঘাটতে হবে।
অনেকে রয়েছেন যারা রাত্তিরবেলা মোবাইল ঘাটেন। এটা কিন্তু আমাদের শরীরের পক্ষেও ভীষণভাবে ক্ষতিকর। যখন রাত্তিরের অন্ধকার হয়ে যায় তখন আমাদের ব্রেন সিগন্যাল দেয় যে এবার ঘুমানোর সময়। কিন্তু মোবাইলের রে যতক্ষণ আমাদের চোখে পড়ছে ততক্ষণ আমাদের ব্রেন বুঝতে পারছে না যে কখন ঘুমানোর সময়। যে কারণে আমাদের শরীর ও বিশ্রাম পাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। তাই আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে একটা সুস্থ জীবন দিতে এই নোমোফোবিয়া রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজন পড়লে অন্যকেও এই রোগ নিয়ে সচেতন করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion।