হুগলী জেলার বিখ্যাত ও বর্ধিষ্ণু জনপদ গোপতিপাড়া বা গুপ্তিপাড়া
গুপ্তিপাড়া পূর্বপ্রান্তে গঙ্গার ধারে রয়েছে “গুপ্ত বৃন্দাবন”, যা সাধারণ মানুষের কাছে শ্রী বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ-মন্দির নামে পরিচিত। তবে এই মঠ চত্বরটিতে কেবলমাত্র শ্রী বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরই নয়, রয়েছে আরও তিনটি মন্দির – শ্রী চৈতন্যদেবের মন্দির, শ্রী রামচন্দ্র মন্দির এবং শ্রী কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। এই চারটি মন্দির মিলে একত্রে গুপ্তিপাড়ার মঠ।গুপ্তিপাড়ার বৃন্দাবনচন্দ্র মঠ চত্বরে অবস্থিত মন্দিরগুলির মধ্যে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর মন্দিরটি সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। ১৭০০ শতকের গোড়ার দিকে বিশ্বেশ্বর রায় এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙলার জোড়বাংলা রীতিতে নির্মিত উঁচু ভিত্তিবেদীর উপর স্থাপিত এই মন্দিরটি এককালে পূর্বমুখী ছিল। অপটু সংস্কারের দুর্ভাগ্যজনক ফলস্বরূপ অধিকাংশ টেরাকোটার কাজই আজ কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।
চৈতন্যদেব মন্দিরের লাগোয়া দক্ষিনমুখী, ত্রিখিলান বিশিষ্ট, আটচালা মন্দিরটিই শ্রী বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির। উঁচু ভিত্তিবেদীর উপর স্থাপিত এই মন্দিরে টেরাকোটার কাজ সীমিত। খিলানগুলির উপরে চারচালা মন্দির শৈলীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য শিবালয় ও শিবলিঙ্গের কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দিরের ভিতরের বারান্দা ও গর্ভগৃহের দেওয়াল ও ভিতরের ছাদ জুড়ে ফ্রেস্কো পেন্টিং-এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী ও কল্কা, ফুল-লতাপাতার কারুকার্য ।
বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দিরের মতই এই মন্দিরটিও বাংলার আটচালা রীতিতে নির্মিত। রামচন্দ্রের মন্দিরের ঠিক বিপরীত দিকে উত্তরমুখী এই মন্দিরটির নির্মাণকাল আনুমানিক ১৮০০ শতকের মধ্যভাগ। কালের নিয়মে ও উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে মন্দিরগাত্রের টেরাকোটার অধিকাংশ কাজই আজ লুপ্তপ্রায়।
এ ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিংকটি ক্লিক করুন। একই সঙ্গে আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion News Time সাবস্ক্রাইব করুন।