জীবনে কৃতজ্ঞতাবোধ কতটা জরুরি? এটা ছাড়া আপনি জীবনে কখনই সুখী হতে পারবেন না। মনোবিদ কি বলছেন। | Jayita Saha

Gratitude বা কৃতজ্ঞতা স্বীকার। জীবনে যখনই কিছু পাই আমরা ধরেনি যে, আমরা এটা পাওয়ার যোগ্য তাই পেয়েছি। কিন্তু যখনই কিছু পাইনা তখন আমরা সেটা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জানাই। সেক্ষেত্রে আমরা যেটা আছে আমাদের কাছে সেটার জন্যে কিন্তু সব সময় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি না। আর সেখান থেকেই কিন্তু নানা রকম অসুবিধা হতে পারে।

• ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্টরা মনে করেন যে, যার মধ্যে ইতিবাচক অনুভূতি বেশি সে অবশ্যই অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো থাকবে। আর এই ইতিবাচক অনুভূতি গুলোর মধ্যে একটা হলো Gratitude বা কৃতজ্ঞতাবোধ। দেখা যায় যে যার মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ যত বেশি তার মধ্যে খুশি থাকার পরিমান ততবেশি। এই জন্যে আপনি যদি প্রতিদিন একটা করে গ্রাটিটিউড জার্নাল বজায় রাখেন, তাহলে আপনার মধ্যে যে খুশি আছে সেটা আপনি বহুদিন ধরে বজায় রাখতে পারবেন। আমরা কতজন বলুন তো এই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি! আমরা যদি কোনোদিন খারাপ যায় তাহলে সারাদিন সেটা নিয়েই ভাবি আর মনে করি যে আমাদের কপালটা খারাপ, কিছুই ভালো হয়না আমার সাথে। অন্যদিকে আপনার দিন যখন ভালো যায় এবং সব কাজ মনের মত করে হয় তখন কিন্তু আপনি সেই দিনের জন্যে কোনো কৃতজ্ঞতাবোধ স্বীকার করেন না।

thank-you-g75986eca2_1920_0.jpg

• আপনি যাকেই মানুন না কেন, সেটা আল্লা, ভগবান, গড, ইউনিভার্স যে নামেই ডাকুন না কেন তার কাছে সব সময় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করুন। আর তাই মনোবিদেরা বলে থাকেন রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে একটা করে Gratitude Journal লিখতে। এক্ষেত্রে পয়েন্ট করে আপনার সাথে কি কি ভালো হয়েছে লিখে ফেলুন। এবার আপনার মনে হতেই পারে যে আমরা এখন সবাই ঘরবন্দি সব কিছুই কেমন যেন থেমে গেছে। কিন্তু এটা ভেবে দেখুন যে, অনেকের কাছে যা নেই তা আপনার কাছে আছে। এখন যারা এই লেখাটা পড়ছেন তাদের কাছে একটা নেট কানেকশন আছে। কিন্তু একটু খেয়াল করে দেখুন কিছু মানুষের কাছে থাকার জন্যে ঘরটাও নেই। আপনার কাছে একটা চাকরী আছে অথবা হয়তো চাকরি নিয়ে চিন্তায় আছেন, তবে চাকরী আছে বলেই তো চিন্তায় আছেন তাই না! কিন্তু ভাবুন তো কিছু মানুষের কাছে এই পরিস্থিতিতে পেতে চালানোর মত কোনো কাজ নেই।

desperate-g88927a699_1920_0.jpg

• আপনার কাছে যেটা আছে সেটা নিয়েই কৃতজ্ঞ থাকুন। নাকি, যেটা হারিয়ে যেতে পারে বা কিছুখারাপ হতে পারে সে বিষয় সারাক্ষণ চিন্তা করলে এমনিতেই আপনার মধ্যে নেতিবাচক অনুভূতির সঞ্চার হবে। আর এই নেতিবাচক অনুভূতি আপনার ব্যবহারেও প্রকাশ পাবে তখন। কারণ, আপনার মধ্যে যদি নেতিবাচক অনুভূতি সব সময় ঘোরাফেরা করে তাহলে কিভাবে আপনার ব্যবহার ইতিবাচক হবে বলুন! আপনার সাথে পরে কি হতে পারে বা কি ছিলো সেটা ভবিষ্যতে চলে যাবে কিনা, সে বিষয় চিন্তা করে আপনি সেটাকে আটকে রাখতে পারবেন না। তার চেয়ে বরং যেটা আছে তার জন্যে কৃতজ্ঞতা রাখুন। তাহলে দেখবেন অনেকটাই ভালো থাকবেন।

• আমরা এভাবেই ছোটো ছোটো বিষয় গুলোর ওপর একটু ভেবে চিন্তে চললেই, খুব সহজে আমরা ভালো এবং সুস্থ থাকতে পারি।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
মণিদীপা গায়েন
ll