সত্যজিতের গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ‘মাস্টার অংশুমান

বাড়ির বাইরে গিয়ে এই প্রথম সত্যজিৎ রায়ের কোন গল্প নিয়ে বড় পর্দায় আসতে চলেছে ছবি। গল্পের নাম মাস্টার অংশুমান। নেপথ্যে রয়েছেন পরিচালক সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সালের ফেলুদার পঞ্চাশ বছর আবির্ভাব বছর উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন সাগ্নিক ফেলুদা: ফিফটি ইয়ার্স অফ রেজ ডিটেকটিভ। প্রসঙ্গত এই ছবি পরিচালনা করেই জাতীয় পুরস্কার এসেছিল তার ঝুলিতে। এবার মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে মাস্টার অংশুমান। সন্দীপ রায় সহকারি হিসেবে দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে সাগ্নিকের। কিন্তু এ ছবি সত্য কিভাবে পেলেন তিনি? জানা গিয়েছে ১৯৮৫ সালে শারদীয়া দেশ পত্রিকায় গল্প যখন প্রকাশিত হয়েছিল তখন পরিচালক পড়েন ক্লাস ফাইভ কিংবা ফোর। পরবর্তী সময়ে সন্দীপ রায়কে গল্পটা নিয়ে কাজ করতে বললে তিনি রাজি হননি। পরবর্তীকালে জানা গিয়েছিল সন্দীপ রায় এই গল্পটা তার জন্যই রেখে দেবেন তাই তিনি কৃতজ্ঞ।

11_0.jpg

একটা সময় জাতীয় প্লাটফর্মে মাস্টার অংশুমান ওয়েব সিরিজের প্রস্তাব এসেছিল সাগ্নিকের কাছে। কিন্তু বাজেট সংক্রান্ত কারণে সেটা তখন সম্ভব হয় হয়নি। পরবর্তীকালে প্রযোজনা সিদ্ধান্ত নেন ছবিটি। এগিয়ে আসেন শ্রীপর্ণা মিত্র। মূল গল্পের প্রেক্ষাপট রাজস্থানের উদয়পুর। যদিও সাগ্নিক এই গল্পের প্রেক্ষাপট সাজিয়েছেন দার্জিলিঙে। ততটা বাজেট না থাকার কারণে পাশাপাশি ফেলুদার প্রথম অভিযান দার্জিলিঙে হওয়ায় স্থানকেই বেছে নিয়েছেন তারা।

2_0.jpg

পরিচালকের সঙ্গে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন শ্রীপর্ণা। এর আগে অনীক দত্ত পরিচালিত অপরাজিত ছবির গবেষণা ও চিত্রনাট্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। গল্পের পুরো ছক তিনিই কষেছেন। অল্পে অংশুমান, বিশুদা এবং কৃষ্ণন চরিত্রগুলি ছাড়া আর কোন চরিত্র সেভাবে তথ্য নেই। ২০২১ সালে ছবি ঘোষণা করেছিলেন নির্মাতারা। যদিও ২০২২ সালে বাকি শেষটা করা হয়। অংশুমানি চরিত্র রয়েছে স্যমন্তক দ্যুতি মৈত্র। কৃষ্ণনের চরিত্র রয়েছে নবাগত সোম চট্টোপাধ্যায়। কেন চরিত্রে রয়েছেন রজতাভ দত্ত ,সুপ্রিয় দত্ত, ত্রিবেদী উপেন্দ্র, রবি খেমু, দেবেশ রায়চৌধুরী। ছবিটি আগামী ৫ মে মুক্তি পাচ্ছে।
 

3_0.jpg

গল্পের সারাংশ। 

সকাল সকাল বিশু কাকুর কথায় অংশুমান তো অবাক! বলে কিনা সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করতে! তাও হিরোর চরিত্রে। তার বয়স মোটে ১৩ মাত্র! বিশু কাকুর কথায় অংশুমানের বাবা, মা না করতে পারেন না। কিছুদিন পরে পুরো ইউনিট রওনা দেয় দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে। ছবির ডিরেক্টর মুম্বাইয়ের বিখ্যাত পরিচালক সুশীল মল্লিক। অবশ্য এই ছবি হিন্দীতে নয়, বাংলা ভাষায়। সুশীল বাবুর জন্য মাধবী সেন, জগগু র হিন্দী ছবির নামী স্টাররাও ছবিতে আছেন। অংশুমান সকলের সঙ্গে মিশে যায় সহজেই। তবে চুপচাপ অপেক্ষায় থাকে স্টান্টম্যান ক্যাপ্টেন কৃষ্ণানের জন্য। দার্জিলিং পৌঁছে অংশুমান, সুশীল বাবু এবং গোনা গুন্তি কয়েকজন দেখা করেন মি: লোহিয়ার সঙ্গে। মি: লোহিয়ার অন্য একটা বাড়ীতেই পুরো শুটিং হবে। মি: লোহিয়া আতিথেয়তা তে সকলে মুগ্ধ। 

4_0.jpg

 এক সময় মি: লোহিয়া তাঁর জমানো কিছু মূল্যবান পাথরও অতিথিদের দেখান যার মধ্যে ব্লু বেল সকলের নজর কাড়ে। 
নির্দিষ্ট সময় ক্যাপ্টেন কৃষ্ণানও পৌঁছন এবং সময়ের সাথে অংশুমানের সঙ্গে জমে যায় তার বন্ধুত্ব। কিন্তু শুটিং চলাকালীন একদিন হঠাৎ ব্লু -বেল চুরি যায়। পুলিশ ঘটনাচক্রে ক্যাপ্টেন কৃষ্ণানকে সন্দেহ করে। ইউনিটের কিছু লোকও সায় দেয় পুলিশের সঙ্গে। কিন্তু অংশুমানের একথা বিশ্বাস হয় না। সে ভাবে এটা কারুর বানানো চক্রান্ত ?? নাকি পুলিশ ইচ্ছে করে আসল চোরকে আড়াল করছে?? কে সেই চোর??

1_0.jpg

 

 এরকমই বিভিন্ন তথ্য জানতে আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion  সাবস্ক্রাইব করো। এবং এই ব্যাপারে আরো বিশদে জানতে নিচের লিঙ্কটি ক্লিক করো।
 

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll