লাইটেস্ট কি 'সত্যিই' মিথ্যে কে জানাতে পারে?

ধরুন কেউ মিথ্যে কথা বলছে সেটা আপনি ধরবেন কিভাবে? হ্যাঁ কিছু ক্ষেত্রে আমরা মিথ্যেকে  সাদা চোখেই ধরে ফেলতে পারি। কিন্তু কিছু কিছু মিথ্যে এতটাই সত্যি বলে মনে হয় যেগুলিকে আমরা চট করে ধরতে পারিনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কথাটা কিন্তু বারবার উঠে আসছে। যদিও এটা পুরোটাই সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার। বর্তমান সময় কোন ক্রিমিনাল বা কোন ক্রাইমকে ধরার জন্য কিন্তু  সত্যি মিথ্যের যাচাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে কিছু টেস্ট করে এটা ধরা হয়। কিন্তু সত্যিই কি টেস্ট করে জানা যায় যে সামনের ব্যক্তি মিথ্যে বলছে না সত্যি? 

Image result for lie test

বর্তমান সময়ের মতো আগেও এই ধরনের টেস্ট করা হতো। যেটাকে পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার টেস্টও বলা হয়। এক বিখ্যাত বিজ্ঞানী নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্নবাণের মাধ্যমে এই ধরনের মিথ্যেকে খুঁজে পেতেন। সেই পদ্ধতি বর্তমানেও মেনে চলা হয়। এছাড়া নার্কো টেস্ট যার কথা বর্তমান সময়ে আমরা বেশ কয়েকবার শুনেছি।  কিন্তু সেটা কি? সোডিয়াম পেন্টোথাল বলে একটি জিনিস রয়েছে যেটা দোষী বা যাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে বা চিনি মিথ্যে বলছেন এমনটা মনে করা হচ্ছে আর শরীরে ইনজেক্ট করা হয়। তারপরই তিনি সত্যি কথা বলতে শুরু করেন। কারণ এটা এমন এক ধরনের কেমিক্যাল যেটা মানুষের শরীরে মিশে গিয়ে মানুষের কল্পনা শক্তি ক্ষমতাকে কিছুটা দুর্বল করে দেয় অর্থাৎ মানুষ যে ভেবে ভেবে মিথ্যে কথা বলে সেই ক্ষমতাটা দুর্বল করে দেয়। কাজের তাকে যে প্রশ্ন আগে করা হয়েছে যথাযথ উত্তর সে যদি না দেয় এই সময় তাকে সেই প্রশ্ন করা হলে সে সত্যি কথা বলতে বাধ্য। বানিয়ে কথা বলার ক্ষমতা কমে যায়। তবে এটা পুরোটাই একটা মেডিকেল সেটআপকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। যেখানে একজন চিকিৎসক থাকবেন থাকবেন একজন নার্স। প্রয়োজন পড়লে থাকবে একজন কার্ডিয়াক সার্জেন্ট। এছাড়া সাইকোলজিস্টের পাশাপাশি 
পুলিশ। এছাড়া লাগে আদালতের অনুমতি। পাশাপাশি যার ওপর এই টেস্ট করা হবে তারও অনুমতি প্রয়োজন হয়।

Lie Detector Test - The UK's #1 Private and Confidential Provider

এছাড়া পলিগ্রাফ টেস্ট অর্থাৎ পার্সোনালিটি টেস্ট সে ক্ষেত্রে কিন্তু শরীরে কোনরকম কেমিকাল প্রয়োগ করা হয় না। শরীরের সঙ্গে কিছু ইলেকট্রন লাগানো হয় এবং সেটা মেশিনের মাধ্যমে মাপা হয়। সেটার মাধ্যমে হার্ট রেট পালসরেট  দেখা হয়। এক্ষেত্রে যখনই ব্যক্তি মিথ্যে কথা বলবে তখন তার শরীরের মধ্যে পরিবর্তন হবে। এই দেখেই বোঝা যাবে সে সত্যি বলছেন। দুটো পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। তবে বর্তমানে এই দুটো পদ্ধতিকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয় মিথ্যেকে  ধরার জন্য।

তবে এগুলি যে শুধুমাত্র মিথ্যেকে সামনে আনার জন্য ব্যবহার করা হয় এটা নয়। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার কাজেও ব্যবহার করা হয়। যেমন যদি কারোর কথা বলার সমস্যা থাকে কিংবা কারো স্মৃতি হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি মানা হয়। এবার আসা যাক আসল প্রশ্নে। এর মাধ্যমে কি সত্যি সব সময় মিথ্যেকে সামনে আনা যায়?

Lie Detector Tests - What You Need to Know About Polygraphs

কিছু কিছু মানুষ এই ধরনের শক্তি কে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা রাখেন বিশেষ করে যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন। তাদের ক্ষেত্রে নার্ভকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাই তাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলার শক্তি যে চলে যায় এটা কাজ করবে না। সে ক্ষেত্রে বলা যেতেই পারে লাইট টেস্ট সব সময় সত্যিকে সামনে আনে না।

 
 

এ ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion.

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll