শ্বেতী রোগ (Vitiligo) কেন হয়? এতে লজ্জার কিছু নেই। এর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। | Health & Beauty Tips | Jinia De |
শ্বেতী এমন একটা রোগ যার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক রং বদলে সাদা রং হয়ে যায়। শ্বেতী হলেই আমরা লুকিয়ে যাই, লজ্জায় আড়াল করি নিজেদের। আমাদের মুখের কোনো একটা অংশে হয়তো ছোট্ট একটা সাদা দাগ হলো, যার রং আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক রঙের থেকে আলাদা। আমরা এটা দেখেই ঘাবড়ে যাই আর লুকিয়ে ফেলি নিজেদের। অথচ পাশ্চাত্য দেশে এটাকে রোগ বলে মনেই করা হয়না। তাহলে কি করা উচিত আমাদের! আমাদের উচিত এই রোগের চিকিৎসা করানো। সব রোগের চিকিৎসা আছে। যদি অল্প-স্বল্প হয়ে থাকে তাহলে সেটা খুব দ্রুত সরানো সম্ভব। আর যদি একটু বাড়াবাড়ি রকমের হয় তাহলে একটু সময় লাগবে তবে সেরে যাবে।
• শ্বেতী কেন হয়?
আমাদের শরীরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যদি অন্য কোনো কোষকে ধ্বংস করে তবে এর ফলে অটো ইমিউন ডিজস তৈরী হয়। এই শ্বেতী হলো এই রকমই একটা জিনিস। আমাদের শরীরে মেলানিন নামক যে পদার্থ আছে সেটা যাদের ত্বকে বেশি থাকে তাদের ত্বকের রং কালো হয় এবং যাদের কম থাকে তাহলে ত্বক ফর্সা হয়। ফলে এই মেলানিন মেনেলোসাইট কোষে থাকে আর এই কোষের কার্যকারিতা যদি কমে যায় তাহলে এই শ্বেতী হয়। আমাদের রক্তে থাকা শ্বেত রক্তকণিকার পরিমান বেড়ে যায় তখন সেটা মেলানোসাইট কোষকে ধ্বংস করতে শুরু করে। ফলে তখন আমাদের দেহে শ্বেতী রোগ হয়ে থাকে।
• প্রথমেই আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হলো ভালো করে খাওয়া দাওয়া করা। সাধারণত আমরা যেমন ফল, শাক-সবজি খাচ্ছি তেমনি খাবো এছাড়া আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যে মাঝে মধ্যে কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, কিসমিস খাওয়া উচিত। অনেকে এলোভেরা জুস্ খান এমন কি লাউ, গাজরের জুস্ ও খায়। এগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আবার শ্বেতী হলে টক জাতীয় ফল খাওয়া বারণ থাকে। কারণ এতে ভিটামিন-সি থাকে যা শ্বেতীর জন্যে উপযোগী নয়। অন্য দিকে দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন শ্বেতী হলে। এছাড়া ময়দা যতটা সম্ভব কম খান।
• যে জায়গায় শ্বেতী হয়েছে সেখানে এলোভেরা জেল বা মুলতানি মাটি হলুদ মিশিয়ে লাগান। এছাড়া হলুদ আর সর্ষের তেল মিশিয়ে সেই শ্বেতীর দাগের ওপর দিন পনেরো লাগান। কাঠ বাদাম পেস্ট লাগাতে পারেন আবার খেতেও পারেন এটা শ্বেতী জন্যে খুব উপকারী। এছাড়া পাকা পেঁপের ভিতরের অংশটাও শ্বেতীর দাগের ওপর লাগাতে পারেন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতেও এই অসুখ সরানো সম্ভব। তবে যাদের অনেক পুরোনো শ্বেতী তাঁদের ক্ষেত্রে এটা খুব একটা কার্যকরী নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়। আপনার কোনটা দরকার সেটা চিকিৎসাকের সাথে পরামর্শ করে নিন।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।