বন্ধ হবে চুল পড়া, এক মাসে চুল উঠবে!

চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত আমরা অনেকেই বহু নিয়ম মেনে চলি। নিয়মিত তেল মালিশ করার পাশাপাশি স্কাল্প পরিষ্কার চুলের ডিপ কন্ডিশনিং সবদিকেই আমরা নজর দিই। কিন্তু তারপরেও যেন সামনের অংশটা ক্রমশ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। ক্যাস্টর অয়েল কিংবা রিকিনোলিক এসিডের উচ্চ ঘনত্বের কারণে চুলের বৃদ্ধি হয় এটা আমরা সবাই জানি। চুলের ঘনত্ব বাড়াতে আমরা অনেকেই ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে থাকি। তবে আজ এমন এক তেলের ব্যবহার বলব যেটা মাত্র এক মাসের নিয়মিত ব্যবহারেই অনেকটা চুল গজাতে সাহায্য করবে।

1_6_0.jpg

 ক্যাস্টর অয়েল শুরু ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যেহেতু তেলটা নিজেই খুব চটচটে তাই অন্য যেকোনো হাতের কাছে থাকা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন নারকোল তেল। আবার যাদের নারকোল তেলে সমস্যা রয়েছে বা এলার্জি রয়েছে সেক্ষেত্রে তারা খাঁটি সরষের তেলের সঙ্গেও ব্যবহার করতে পারে। ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজ করে অলিভ অয়েল এর সঙ্গে। আবার যাদের মাথায় একটু খুশকির সমস্যা বা চুলকানির সমস্যা রয়েছে সেক্ষেত্রে তারা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গেও ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আবার যাদের অল্প পেতে ঠান্ডা লাগা ধাত রয়েছে তারা ব্যবহার নাই করতে পারেন।

2_7_0.jpg

 অনেকেই আছেন যারা শ্যাম্পু করার আগে মাথায় প্যাক লাগাতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে এক চামচ দই বা একটা ডিম যখন মাথায় মাখবেন  সেই সঙ্গে কিছুটা ক্যাস্টর অয়েলের যোগ করে নিতে পারেন। ঘন্টাখানেক মাথায় রাখলে সমস্ত গুনাগুন টাই স্কাল্প থেকে চুলের গোড়া  পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে। আবার যদি কারোর মাথার কিছু কিছু অংশ ফাঁকা হয়ে যায় তারা শুধু ক্যাস্টর অয়েল আঙুলে করে নিয়ে সেই জায়গাটা একটু ঘষে লাগিয়ে নিতে পারে। তবে এর পেছনে বেশ কিছুটা সময় দিতে হবে। আজকে লাগালে কালকেই চুল হয়ে যাবে এই ধারণাটা ভীষণভাবে ভুল। অন্তত এক মাস নিয়মিত এটা ব্যবহার করতে হবে। তাহলে অবশ্যই চুল গজাতে বাধ্য। কারোর যদি ভুরু পাতলা হয় কিংবা গোঁফ পাতলা হয় সে ক্ষেত্রে তারাও তারাও ব্যবহার করতে পারেন নিঃসন্দেহে।

 3_3_0.jpg

এই ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিংকটি ক্লিক করুন। পাশাপাশি সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion Beauty Secret

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll