স্ট্রোক প্রিভেনশন... এই তিনটি পদ্ধতি মনে রাখুন- শরীর আগে থেকেই জানান দেয়

আজ একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নিয়ে আমরা আলোচনা করব। এমন একটা বিপদ যেটা সঙ্গে আমরা অনেকেই হয়তো সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু সামান্য বোঝার অভাবে হয়তো বড় বিপদ ঘটে গিয়েছে। কি সেই বিপদ... স্ট্রোক। আজ্ঞে হ্যাঁ। স্ট্রোক হওয়ার আগে কিন্তু আমাদের শরীর জানান দেয়। কিন্তু আমরাই বুঝে উঠতে পারিনা। আজ তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট সংকেত দেখে বোঝার চেষ্টা করব। সতর্ক হব। অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোক হয়েছে এটা আমরা বুঝতে পারি না বলে যার স্ট্রোক হয়েছে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও দেরি করে ফেলি। সেক্ষেত্রে তার মৃত্যু হতে পারে অথবা প্যারালিসিস হতে পারে।
আমাদের শরীর কিন্তু অনেক আগে থেকেই জানান দেয় যে শরীরের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা সেগুলো খুব একটা আমল দিইনা। সবাই করে। কিন্তু সেই গুরুত্ব না দেওয়াটা কিন্তু পরবর্তীকালে ভীষণ বড় বিপদ ডেকে আনে আর তখন আমরা চাইলেও কিছু করতে পারিনা।কিন্তু খুব ছোট ছোট জিনিসের উপর যদি আমরা খেয়াল করি। এই যেমন কেউ কথা বলছে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে তার কথাটা সামান্য জড়িয়ে গেল। হয়তো উল্টো দিকে বসা মানুষটা জিনিসটা ধরতেই পারল না বাহ হয়তো ভাবল তোমার কথা জড়িয়ে গেছে হেসেও দিল। এই জিনিসটা বার দুয়েক হলো। কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিলাম না। বা কিছু জিনিস হয়তো নিয়ে যাচ্ছো হাতে করে হঠাৎ করেই হাতের থেকে জিনিসটা পড়ে গেল অবচেতন মনে। হাতটা অবশ হয়ে গেল। তার কিছুক্ষণের মধ্যে হাতটা একটু মালিশ করে দিতে হয়তো ঠিক হয়ে গেল।আমরা হয়তো বুঝতেও পারলাম না আমাদের অগোচরে শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধছে কোন ভয়ঙ্কর বিপদ।
তোমার কাছের মানুষের স্ট্রোক হয়েছে কিনা এটা বোঝার জন্য কিন্তু একটা খুব সহজ ফর্মুলা রয়েছে। এস টি আর ফর্মুলা। কাছের মানুষের ব্যবহারে যদি কিছু মাত্র অ্যাবনরমালিটি তাহলে তাকে স্মাইল অর্থাৎ হাসতে বলতে হবে। দেখতে হবে সে হাসতে পারছে কিনা। সে যদি হাসে তাহলে তার কোন সমস্যা নেই। আর একটা জিনিস খেয়াল করতে হবে তার মুখটা কোনভাবে বেঁকে যাচ্ছে কিনা। কারণ এটাও স্ট্রোকের একটা লক্ষণ। যদি এমন কিছু ঘটে তাহলে কাছাকাছি কোন চিকিৎসালয়ে অবিলম্বে যাওয়া উচিত। ফর্মুলার দ্বিতীয় অধ্যায় হল টক। অর্থাৎ তাকে কথা বলতে হবে। যদি সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলে তাহলে ঠিক আছে কিন্তু কথা বলতে গিয়ে যদি অসুবিধা হয় তাহলে সমস্যা রয়েছে। তৃতীয় হল হাত তুলতে বলা অথবা রেইস হ্যান্ড। দুটো হাত সে উপরে তুলতে পারছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরো একটা জিনিস হচ্ছে তাকে জিভ বের করতে বলতে হবে। যদি সে জিভটা বের করে এবং সেটা কিছুটা ব্যাকা মনে হয় তাহলে অতি অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। নাহলে বড় কোনো বিপদ হতে পারে। এইরকম ছোট ছোট লক্ষণ যদি আমরা দেখি তাহলে কিন্তু একটা জীবন বাঁচাতে পারি।
এমনই বিভিন্ন ভিডিও সম্পর্কে বিশদে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion.
