আজকাল অ্যালার্জির সমস্যা অনেকেরই হয়। কেন হয় এবং এর প্রাথমিক ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন। | Health & Beauty Tips | Jinia De |

অ্যালার্জি একটা ভীষণ সাধারণ সমস্যা। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরই এই সমস্যা আছে। বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হয়। যে-কোনো অসুবিধার ক্ষেত্রে আমরা আগে বলি যে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। তবে তারও আগে আমরা চেষ্টা করি যে, যদি ঘরোয়া কোনো উপায় প্রাথমিক ভাবে এটা সমাধান করা যায়। আজকে আমরা অ্যালার্জি দূর করার কিছু প্রাথমিক ঘরোয়া উপায় জানবো। তবে সবার আগে জেনে রাখা দরকার যে, অ্যালার্জি কি এবং কেন হয়? কিছু মানুষের খাবারের থেকে অ্যালার্জি হয়, হয়তো এমন কিছু খেলেন তারপর মুখে বা সারা দেহে লাল লাল চাকা দাগ হয়ে গেলো। আবার হয়তো অনেকের ধুলো থেকে অ্যালার্জি হয়। হয়তো আপনি ঘরে ধুলো পরিষ্কার করছেন তারপর দেখলেন আপনার হাঁচি বা কাশি আরম্ভ হলো। অনেকের ঠান্ডা লেগে অ্যালার্জি হয়। তাই সবার প্রথমে আপনাকে জানতে হবে যে কি থেকে অ্যালার্জি হচ্ছে।

allergy-g2c2d977bf_1920_0.jpg

• প্রথমেই আপনাকে যে কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে সেই কারণ থেকে প্রতিহত করতে হবে। যে খাবারটা খেলে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে সেই খাবারটা খাবেন না। আপনার যদি ধুলো থেকে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ধুলো-ময়লা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ঠান্ডা জল থেকে যাদের অ্যালার্জি হয় তারা সেটা থেকে দূরে থাকুন।

broom-g4947da00a_1920_0.jpg

• আমাদের প্রত্যেকেরই একটা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। যাদের এই ক্ষমতা বেশি তাদের খুব একটা অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায় না। তবে যাদের এই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের অ্যালার্জি হয়ে থাকে। কোনো রকম জীবাণু, ছাত্রক, ব্যাকটেরিয়া যদি আপনার শরীরে ঢোকে তাহলে সেটার বহিরপ্রকাশ হলো এই অ্যালার্জি। আপনার যদি ঋতু পরিবর্তনের ফলে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই সাবধান হোন। অনেকের আবার সারা বছরই হাঁচি কাশি হয় তাই সে বিষয়ও সতর্ক হোন। আবার কিছু মানুষের অ্যাশমা সমস্যা থাকে তারা ঠান্ডা লাগলেই দমের কষ্ট হয়। এটাও এক ধরণের অ্যালার্জির লক্ষণ। তাই ঠান্ডা লাগাবেন না একদম। এসব ক্ষেত্রে আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই, তারা নানা রকম পরীক্ষা করতে দেয়। কিন্তু আমরা এসবের আগেও ঘরোয়া কিছু উপায় চেষ্টা করে দেখি।

• অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে আপনি রোজ পাতিলেবুর রস খান। পাতিলেবুতে আছে ভিটামিন-সি, যা আমাদের শরীরে নানান সমস্যা দূর করতে পারে। রোজ এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খান বা ভাতে মেখে খান। এছাড়া আদার রস বা শশা গাজরের রস করেও খেতে পারেন। এগুলো ছাড়া একটা ঘরোয়া টোটকা জেনে নিন। নীম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। যদি নীম পাতা না পান তাহলে এখন অনলাইনে নীম পাতার গুঁড়ো বিক্রি হয়, সেটাও নিতে পারেন। তার সাথে ইসব গুলের ভুশি নিয়ে নিন। এক গ্লাস জলে ইসব গুলের ভুশি এবং চার চামচের এক চামচ একদম অল্প পরিমানে নীম পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জল পরেরদিন সকালে খান। টানা ২০-২৫ দিন খান অনেকটা উপকার পাবেন। তবে এসব ক্ষেত্রে যদি মনে করেন যে বাড়াবাড়ি হয়েছে বা সমস্যা কমছে না তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

woman-g4755e2e4b_1920_0.jpg

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। 

 

এই বিষয়ে  আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll