আপনার সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কি ধরণের পরিকল্পনা করা উচিৎ? | মনোবিদ কি বলছেন| Mental Health Awareness | Dr. Tanmoy Mitra |
বেড়াতে যেতে আমরা প্রায় সবাই ভালোবাসি। কিন্তু অনেক সময়ই এই বেড়াতে যাওয়া নিয়ে একটা মানসিক টানাপোড়েন চলে। আজকে আমরা জানবো এই বেড়াতে যাওয়া আমাদের মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বেড়াতে যাওয়াটা আমাদের সবার কাছেই একটা মমানসিক আনন্দের ব্যাপার। অনেক সময় বাচ্চারা আমাদের সঙ্গে থাকে। ক্লাস ২-৬ বাচ্চারা আমাদের সাথে যখন বেড়াতে যায় তখন চেষ্টা করুন বেড়ানোটা শুধু বিনোদনমূলক না হয়ে কিছুটা শিক্ষামূলক হোক।
• আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি এমন একটা জায়গা বেড়াতে যাবো যেখানে সুন্দর একটা পর্যটনকেন্দ্র থাকবে। কিন্তু বাচ্চারা সাথে থাকলে চেষ্টা করুন, একটু শিক্ষামূলক জায়গায় যেমন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই গৌড়, মালদা, মুর্শিদাবাদের মতো ঐতিহাসিক জায়গায় যান। যেখানে গেলে আপনি আপনার বাচ্চাকে অনেক কিছু ঐতিহাসিক বিষয় সম্পর্কে বোঝান, সেই সমস্ত জায়গা গুলোর গুরুত্ব বোঝান আপনার বাচ্চাকে।
• পাহাড়ে গেলে বিশেষ করে দার্জিলিং অঞ্চলে গেলে আমরা সবাই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যাই। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনার বাচ্চাকে পাহাড় না দেখিয়ে তাকে সমতল থেকে কিভাবে আস্তে আস্তে ভূমিরূপের পরিবর্তন আসছে সেটা দেখান। পাহাড়ি অঞ্চলের কয়েক ধরণের পাখি দেখান। নতুন নতুন গাছপালা তাকে দেখান এবং তাকে উপভোগ করতে দিন। আপনার বাচ্চা যদি একটা পাথর থেকে অন্য পাথরে লাফিয়ে যেতে চায় তাহলে তাকে না আটকে বোঝান যে, লাফাতে গিয়ে পড়ে গেলে তার কোথায় আঘাত লাগতে পারে বা তার জুতোটা কোথায় পিচ্ছিল হচ্ছে সেটা তাকে বোঝান। কিন্তু তাকে আটকাবেন না, তাকে তার মতো করে উপভোগ করতে দিন।
• বাড়িতে ফিরে এলে তার সাথে এই বেড়ানোর বিষয়ে কথা বলুন। সে কি কি শিখলো সেটা তার থেকে জানতে চান। বেড়াতে গিয়ে তাকে কিছু দায়িত্ব দিন। সব কাজ নিজেরা না করে তাকে ছোটো ছোটো দায়িত্ব দিন। সেও নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।
বেড়াতে যাওয়া মানসিক শান্তি যেমন দেয় তেমনই আমাদের অনেক কিছু শেখায়। আর পরিবারের সাথে সময় কাটানোর সময় আমাদের হাতে এখন অনেক কমে গেছে। তাই যতটুকু সময় পাচ্ছেন তা প্রাণ ভরে উপভোগ করুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।