শূন্যতা' এক ভয়ঙ্কর সমস্যা। এটা কেন হয়? এর কিছু সমাধানের উপায় জেনে রাখুন। | Emptiness Syndrome | Social Awareness | Bidhan Saha |

আমাদের জীবন একটা ছন্দে চলে। আর এই ছন্দটা নষ্ট হলে বা বলা ভালো ছন্দপতন হলে আমাদের জীবনে নেমে আসে একাকিত্ব। এই ছন্দ আসে পরিবার থেকে প্রিয়জনদের থেকে। না আমরা ঝগড়া অশান্তির বলছি না। সাফল্যও কিন্তু অনেক সময় আমাদের জীবনে শূন্যতা নিয়ে আসতে পারে। এখনকার সময় আমাদের বেশিভাগ মানুষেরই একটি মাত্র সন্তান। আর আমরা চাই একমাত্র সন্তানকে অনেক বড়ো জায়গায় পৌঁছে দিতে। সেই সন্তান যখন বাবা-মা'য়ের স্বপ্ন পূরণ করে এবং বিদেশে চলে যায় তখন কিন্তু আমরা বাবা-মা'রা একা হয়ে পড়ি।

woman-g2737718d9_1920_1_0.jpg

• দেখুন একটা সময় আপনি চেয়েছিলেন যে, আপনার সন্তান সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছাক কিন্তু সেটা যদি না হত তখন কি আপনি মেনে নিতে পারতেন? আপনার সন্তান যদি বাড়িতে বসে থাকতো, আপনার স্বপ্নগুলো সফল না করতে পারত তাহলে আপনার ভালো লাগতো?! এদিকে আপনি যদি সারাক্ষণ মনখারাপ করেন, একাকিত্ব বা শূন্যতা অনুভব করেন তাহলে আপনার সন্তানটিও ওখানে গিয়ে ভালো থাকতে পারবে না। সেও বারবার পিছুটান অনুভব করবে। তাই আপনাকেই আপনার এই একাকিত্ব কাটিয়ে তুলতে হবে।

tree-g84d252981_1920_0.jpg

• এই শূন্যতা বা Emptiness Syndrome কাটিয়ে ওঠার কিছু উপায়:

১) আপনার স্বপ্ন পূরণ করতেই আপনার সন্তান বিদেশ গেছে তাই তাকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করুন। এখন তো প্রযুক্তি ভীষণ উন্নত আর এই প্রযুক্তির হাত ধরেই করে ফেলুন ভিডিও কল। হ্যাঁ, এই ভিডিও কলের মাধ্যমেই আপনি খুব সহজে আপনার সন্তানকে লাইভ দেখতে পাবেন। তাকে নিয়ম করে ভিডিও কল করুন। আড্ডা দিন, হাসি ঠাট্টা করুন। সময় নিয়ে ভিডিও কল করুন।

২) নিজেদের হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছে গুলো পূরণ করুন। সন্তানকে বড়ো করতে গিয়ে যে যে ইচ্ছেগুলো আপনি পূরণ করতে পারেনি সেই সেই ইচ্ছে গুলোকে আবার জাগিয়ে তুলুন। চেষ্টা করুন নিজেদের মধ্যে সময় কাটাতে। আপনি এবং আপনার জীবনসঙ্গী মিলে সিনেমা দেখুন, আড্ডা দিন, একসাথে চা খান এবং একে অপরকে বোঝান যে, সন্তান আপনাদের স্বপ্ন পূরণের জন্যেই বিদেশে গেছে।

ticket-g700fbe134_1920_0.jpg

৩) পোষ্য নিয়ে আসুন বাড়িতে। কারণ এই সময় একমাত্র পোষ্যই পারে আপনার একাকিত্ব দূর করতে। এছাড়া বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম করুন, বাগান করুন, কবিতা পড়ুন, থিয়েটারে যান। বন্ধুদের দলে আবার যোগ দিন। অথবা বয়স্ক মানুষদের যে সংগঠন আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। জন্মদিন পালন করুন বড়ো করে। হৈহৈ করে বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।

৪) আপনার সন্তানকে বারবার ফিরে আসার জন্যে বলবেন না। কারণ এর ফলে তার ওপর একটা মানসিক চাপের সৃষ্টি হবে। সে সেখানে কোনো কাজেই মনোযোগ দিতে পারবে না। এমন একটা পরিবার গড়ে তুলুন যেখানে ভৌগোলিক দূরত্বটা কোনো বাঁধাই নয়। আর বারবার একটা ভাবুন যে, যদি আপনার সন্তান বাড়িতে বসে থাকতো তাহলে কি আপনার ভালো লাগতো!

people-g8d880d676_1920_0.jpg

মনের মিল থাকলে কোনো দূরত্বই বাঁধা নয়। তাই অযথা মনখারাপ না করে নতুন করে ভাবুন। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। 

এই বিষয়ে  আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
Oindrila Chakraborty
ll