কিছুতেই ঘুম নেই? কয়েকটা সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি চেষ্টা করে দেখুন

সারাদিন প্রচুর খাটা খাটনির পর যখন বিছানায় শুলে তখন ভাববেন আজ দারুন ঘুম হবে। কিন্তু রাত যত এগুলো ঘুম আসতো দূরের কথা সারা রাতটা সিলিং এর দিকে তাকিয়েই কেটে গেল। এ ঘটনা একদিনে নয়। বরং নিত্যদিনের হয়ে উঠেছে। কিন্তু কি কারণে এমন হচ্ছে সেটা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। স্লিপিং ডিসঅডার বা ইনসোমেনিয়া সোজা বাংলায় বললে যাকে বলে অনিদ্রা। এই রোগে কিন্তু আক্রান্ত বহু মানুষ। চিকিৎসকের কাছে গেলে অবশ্যই ঘুমের ওষুধ পাওয়া যাবে কিন্তু ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি চেষ্টা করে যদি এই অনিদ্রা কাটানো যায় তাহলে? আজ জানাব তেমনই ঘরোয়া সহজ পদ্ধতি। সুস্থ ভালো থাকার জন্য তার পাশাপাশি সারাদিন তরতাজা থাকার জন্য কিন্তু রাত্রে ঘুমটা ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় ব্রেনের যে গ্রিনথেটিক সিস্টেম সেটা খারাপ মেটাবলিককে বের করে দেয়। কিন্তু যদি ঠিকঠাক ঘুম না হয় তাহলে এই খারাপ মেটাবলিক শরীর থেকে বের হয় না যার ফলে দেখা যায় অ্যাংজাইটি দেখা যায় ডিপ্রেশন। যত দিন যাচ্ছে এই সমস্যা বহু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সব সময় যে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কড়া ডোজের ওষুধ খেতে হবে এমনটা নয়। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে তার মাধ্যমেও সেরে যেতে পারি অনিদ্রা।
তবে এই ইনসোমেনিয়া বা অনিদ্রা রয়েছে দুই ধরনের। একটা সর্ট টার্ম আর একটা লং টার্ম। যেমন ধরুন আপনার সামনে পরীক্ষা রয়েছে কিংবা বড় কোন কাজ রয়েছে বা একটা জায়গায় ঘুরতে গেছেন সেখানকার পরিবেশ কেমন মানুষজন কেমন সেটা নিয়ে ভাবছেন তাতে ঘুম হচ্ছে না। এটা হল সর্ট টার্ম। এই সময়টা যখন পেরিয়ে যাবে তখন আবার স্বাভাবিক যেমন ঘুম হয় তেমন হবে। কিন্তু লং টার্ম অর্থাৎ যাদের দীর্ঘদিন ধরে ঘুম হয় না কোন কিছু করেই ঘুম হয় না তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তবে মেডিটেশন অর্থাৎ একটা শান্ত পরিবেশে বসে কোন একটা বিষয় নিয়ে স্থির ভাবে চিন্তা করা। কোন একটা বিষয় নিয়ে ভাবনা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যখন আমরা স্থিরভাবে কোন কিছু চিন্তা করি অর্থাৎ মেডিটেট করি তখনই আমাদের মাথায় বিভিন্ন ধরনের নেগেটিভ চিন্তাভাবনা আসতে শুরু করে। মেডিটেশনের নিয়ম হলো যখনই কোন নেগেটিভ চিন্তা আসতে শুরু করবে ওইখানেই থেমে যাওয়া। কিন্তু যদি কেউ সঠিকভাবে মেডিটেশন করতে পারে তাহলে মন অনেক শান্ত হয়। ঘুমের জন্য ভীষণ ভালো এই মেডিটেশন। আরেকটা যেটা জিনিস করতে হবে সেটা হল ঘুমের অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি যদি ঘুম না আসে তাহলে কোন সফট মিউজিক চালিয়ে রাখলে ঘুম চলে আসে। অনেক সময় আবার অনেক রকম মন্ত্র আমাদের মনকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে। যে ধর্মের মানুষই হোক না কেন তাদেরকে নিজের ধর্মে কোন না কোন এমন শব্দ রয়েছে যেটা মনকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করে দেয়। তেমন মন্ত্র শুতে যাওয়ার আগে যদি উচ্চারণ করা যায় তাহলে কিন্তু ভালো ঘুম হয়। আবার ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে যদি একটু যোগাসন করে বা একটু ব্যায়াম করি তাহলেও আমাদের শরীরে অনেকটা পরিশ্রম হয়। পাশাপাশি আমাদের শরীর অনেক বেশি সজীব হয় যে কারণে আমাদের সমস্ত পেশি খুব ভালোভাবে কাজ করে। যোগাসন কিংবা ব্যায়াম কিন্তু অনিদ্রা কাটানোর একটা খুব ভালো উপায়। পাশাপাশি ম্যাসাজ থেরাপি কিন্তু যাদের ঘুম হয় না তাদের জন্য ভীষণ ভালো একটা উপায়। এটা করে দেখতে পারো বন্ধুরা। কাল মেসেজে ব্লাড সার্কুলেশন খুব ভালোভাবে কাজ করে। আবার ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি খেলে কিন্তু খুব ভালো ঘুম হয়। যেমন দুগ্ধ জাতীয় খাবার বা বাদাম, কলা এগুলি কিন্তু ঘুম আনার খুব ভালো ওষুধ। তাই রাত্রে শোয়ার আগে যদি এর মধ্যে কোন একটা খাবার খেয়ে শোয়া যায় তাহলে কিন্তু উপকার হবে।
এই ছোট ছোট নিয়ম গুলো যদি একটু মানা যায় তাহলে কিন্তু আমাদের যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে অনিদ্রা কাটিয়ে উঠতে পারবে।
এ ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিংকটি ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion.
