ডেলিভারি ওটিপি ও এনসিওরেন্স সাইবার ক্রাইম... জালিয়াতির নতুন দুটি ফাঁদ

বর্তমানে আমরা অনেকেই অনলাইন কেনাকাটা করি। কেউ কেউ খুব বেশি করি কেউ কেউ আবার অল্প করি। আর এই জিনিসটাকে কাজে লাগিয়ে একদল মানুষ অনলাইন জালিয়াতির নতুন ফাঁদ ফেদেছে। আজ তেমনই দুটো অনলাইন জালিয়াতির ফাঁদ নিয়ে আপনাদের সতর্ক করব। হয়তো এ ব্যাপারে আপনারা আগে শুনেছেন। আজ আরও একবার সতর্ক হয়ে যাবার পালা। প্রথমেই যে জিনিসটা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করব সেটা হল ডেলিভারি ওটিপি।
আমরা যখন অনলাইনে জিনিস কেনাকাটা করি তখন কিছু ক্ষেত্রে আমরা টাকা আগে থেকেই পেমেন্ট করে দিই অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারি অর্থাৎ হাতে জিনিস পাওয়ার পর টাকা তুলে দেবো কোম্পানির হাতে। এই দু ধরনের পেমেন্ট মূলত দেখা যায়। জালিয়াতের দল এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছে নিজেদের পকেট পূর্ণ করার জন্য। ধরুন আপনার কাছে এমন এক পারসেন্ট এলো যেটার অর্ডার হয়তো আপনি করেননি। আর তার টাকাটাও খুব একটা বিশাল কিছু নয়। এই ৫০০ কিংবা আড়াইশো এইরকম। খুব বড় অংকের টাকা এক্ষেত্রে জালিয়াত হতে দেখা যায় না। সেক্ষেত্রে পার্সেল আসার সঙ্গে সঙ্গে ডেলিভারি বয় আপনাকে বলবেন যে আপনার ফোনে একটি ওটিপি গেছে সেটি জানালে তবেই পার্সেল দেওয়া হবে। আপনি সে ক্ষেত্রে তাকে উল্টে প্রশ্ন করতেই পারেন যে তিনি কোন কোম্পানি থেকে এসেছেন এর ভেতরে কি রয়েছে বা আপনি তো কোন রকমের পার্সেল অর্ডার দেননি তাহলে এটা কি! সেক্ষেত্রে সামনের মানুষের অপর চোখ স্থির রাখতে হবে। যদি সত্যিই কোন কোম্পানি থেকে এই পার্সেল আসে তাহলে সে সমস্ত সঠিক উত্তর দিতে পারবে। তখন সে উল্টে আপনাকে জানাবে আপনি এই পার্সেল না চাইলে আপনার ফোনে একটি ওটিপি যাবে সেটি বললে এই পার্সেল ক্যান্সেল হয়ে যাবে। তখন সেই ওটিপি যদি আপনি তাকে জানিয়ে দেন তাহলেই সর্বনাশ। আপনার ব্যাংক সর্বস্ব ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। কারণ এই ওটিপি ভাবে তারা আপনার কাছ থেকে আদায় করতে না পারলেও ক্যানসেল করার লোভ দেখিয়ে ওটিপি আদায় করতে চেষ্টা করবে। সে ক্ষেত্রে আপনি আগে পরিষ্কার প্রত্যাখ্যান করবেন।
এবার আসি দ্বিতীয় এক ধরনের জালিয়াতির কথায়। হঠাৎ করেই আপনার কাছে একটি ফোন আসবে যেখানে আপনার নাম ধাম এমনকি জব সিকিউরিটি সবকিছু তাদের নখদর্পণে থাকবে। তখন তারা আপনাকে বলবে আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে সেই কোম্পানিতে আপনি বেশ কিছু বছর আগে একটি পলিসি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে সেটি আপনি চালাচ্ছেন না এবং সেই নিয়েই বিভিন্ন প্রশ্ন করতে শুরু করবে আপনাকে। সে ক্ষেত্রে তারা টাকার অংকটা খুব বড় বলবে। আমরা যারা একটু লোভী বা একটুতেই বড়লোক হতে চাই তারা কিন্তু সেই ফাঁদে পড়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তারা বলতে পারে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার পলিসি শেষ হয়ে যাচ্ছে আপনি যদি সেই টাকা চান তাহলে সেটা আপনাকে দেওয়া হবে সামান্য কিছু টাকা কেটে নিয়ে। তখন তারা আপনাকে একটি গেটওয়ে অর্থাৎ পেমেন্ট অপশন পাঠাবে যেখানে বলবে ওই সামান্য পেনাল্টির টাকা যদি আপনি দিয়ে দেন তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার পুরো পলিসির টাকা ঢুকে যাবে আপনার একাউন্টে। এক্ষেত্রে আপনার ওই পেনাল্টি টাকার ওপর দিয়েও আপনার ফাঁড়া যেতে পারে। আবার এমনটাও হতে পারে ওই সামান্য পেনাল্টির টাকা তো বটেই আপনার ব্যাংকের সর্বস্ব চলে যেতে পারে এই জালিয়ারদের কাছে। তাই পরবর্তী সময় পেমেন্ট করতে হলে বা অনলাইনে কেনাকাটা করতে হলে অবশ্যই সতর্ক থাকুন।
এ ব্যাপারে বিশদে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন সেই সঙ্গে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের চ্যানেল Bengal Fusion.
