জানেন কি নিজেদের সঙ্গীর মৃত্যু হলে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেয় পেঙ্গুইন!
পেঙ্গুইন... যার নাম শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হেলেদুলে চলা মিষ্টি একটা পাখির ছবি। অনেকে আবার তাদের গায়ের রঙ এবং দেহের আকারের জন্য পেঙ্গুইনকে উকিলবাবুও বলে থাকেন। প্রকৃতির এক অদ্ভুত সৃষ্টি হল এই পেঙ্গুইন পাখি। যাদের বাস সুদূর আন্টার্টিকাতে। কিন্তু জানেন কি পেঙ্গুইনদের জীবন কিন্তু মোটেই সাধাদিধে নয়, তাঁদের জীবন যে কতটা ভয়াবহ সেই সাথে যে কতটা রোমাঞ্চতায় পূর্ণ সেই গল্পই বলবো আজ।
ডিম থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের জীবনের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কখনো -70 ডিগ্রী তাপমাত্রায় বেঁচে থাকা আবার কখনো লক্ষ লক্ষ পেঙ্গুইনের মধ্যে আটকে গিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু। এছাড়া শত্রুর হাত থেকে লড়াই করে বেঁচে থাকার ঘটনা তো রয়েইছে। একটি পেঙ্গুইনের জীবনে ক্রমাগত চলে লড়াই।
পেঙ্গুইনের জীবনে ঝড় ঝাপটা শুরু হয় যখন মা পেঙ্গুইন ডিম পারে ঠিক তখন থেকে।স্থানের আবহাওয়া -50ডিগ্রী থেকে -60ডিগ্রী তাপমাত্রা হওয়ার কারণে ডিমটিকে ক্রমাগত নিজেদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হয় মা পেঙ্গুইনকে। তা না হলে তার ওপর বরফের আস্তরণ জমে গেলে ডিমের ভেতরে থাকা পেঙ্গুইনের মৃত্যু হবে। আবার ডিম ফুটে বেরোবার পরেও সাত মাস পর্যন্ত শিশু পেঙ্গুইনকে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতে হয়। অতি সাবধানে সেইসব শিশু পেঙ্গুইনদের রেখে শিকারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে তাদের মা-বাবা। আবার শিশুপেঙ্গুইনের মত তার বাবা-মায়ের জীবনেও রয়েছে বহু ঝুঁকি।
এমন নয় যে প্রত্যেকটি পেঙ্গুইন শিকারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে আবার দিনের শেষে তাঁদের বাসায় ফিরে আসবে। কারণ শিকারের উদ্দেশ্যে বেরোলে তাদেরকে জলে নামতেই হবে। এবং জলে অপেক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের হাঙ্গর তিমি মাছ এবং শীল মাছ। কোন শিশু পেঙ্গুইনের মা-বাবা বা উভয় যদি মারা যায়,সেক্ষেত্রে সেই শিশু পেঙ্গুইনের মা কে হবে সেই নিয়ে শুরু হয় লড়াই। সেই লড়াইতে বড় পেঙ্গুইনের পাশাপাশি এই ঝামেলার শিকার হয় শিশু পেঙ্গুইন পর্যন্ত। এইভাবেও তাদের প্রাণ যায়।
সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion News Time চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।