এই শহরের মেয়র একজন কুকুর
কোনও শহর ঠিক কতটা সুন্দর হবে কতটা গোছানো হবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করে সেই শহরের নগরপাল বা যারা সেই দায়িত্বে থাকে তার ওপর। শহরের যাবতীয় সমস্যা তার পরিকল্পনাতেই সমাধান হয়। কিন্তু এই গুরু দায়িত্ব যদি দেওয়া হয় কোন চার পেয়েকে। সে কি তার হাতে থুরি পায়ে এই গুরুতর দায়িত্ব সামলাতে পারবে?
সম্প্রতি মানুষের বিচক্ষণহীন ক্রিয়াকলাপের জেরে এমনিতেও মনুষ্যজাতির ওপর থেকেই ভরসা উঠে যাচ্ছে। এই বছরের শুরুতেই বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকার নির্বাচনের উৎসবে মেতেছিল গোটা দেশ।অবশেষে ট্রাম্পের থেকে যখন ভরসা একেবারে উঠে গিয়েছিলো আমেরিকাবাসীর তখন তারা বেছে নিয়েছিলেন জো বাইডেনকে তাঁদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে।
গোটা পৃথিবীর কাছে এই বিষয়বস্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। তবে জানেন কি এই আমেরিকারই একটি শহর তাঁদের মেয়র হিসাবে বেঁছে নিয়েছেন একটি কুকুরকে? আমেরিকার কেন্টাকি শহরের বাসিন্দারা আদপেই মানুষের থেকে বেশী ভরসা করেন একটি কুকুরকে। সেই কারণেই তারা নগরের যাবতীয় গুরুতর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন এক কুকুরের হাতে। হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি। রীতিমতো ভোট দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাকে।উইলবার নামের ওই সারমেয়, ছয় বছর বয়সী এক ফ্রেঞ্চ কুকুর। যে আগামী 4 বছর এই শহরের মেয়র পদের দায়িত্ব সামলাবে। উইলবার এর মুখপাত্র অর্থাৎ যেকিনা উইলবারের মালিক, তিনি জানিয়েছেন, কেন্টাকি শহরের জনসংখ্যা ৫০০-এরও কম। তবে এটাই প্রথমবার নয় এই শহরে কোনোকালেই কোন মানুষকে মেয়র পদে দেওয়া হয়নি। তবে এই প্রথার শুরু আজ নয়। 19 এর দশকে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রস্তাব রেখেছিলেন অল্প জনসংখ্যা যুক্ত এই অঞ্চলের মেয়র যদি মানুষ বাদে অন্য কোন জীবজন্তুকে করা হয় সেক্ষেত্রে কেমন হবে। প্রস্তাবটি অনেককেই অবাক করেছিল। কয়েকজন রাজি হয়ে গিয়েছিলেন সেই প্রস্তাবে।তারপর থেকেই এই রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। তবে উইলবার তার দায়িত্বকে বেশ মনোযোগ সহকারে পালন করে। তবে নতুন মেয়র কে কোন কাজ করানোর আগে ঘুষ কিন্তু অবশ্যই দিতে হয়।এই নতুন মেয়রকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়ে নিতে হলে অতি অবশ্যই তাঁর পেটে এবং মাথায় ভালো করে হাত বুলিয়ে দিতে হবে। এ শহরে প্রথম যে কুকুর নির্বাচিত হয়েছিল মেয়র হিসেবে তার নাম ছিল গুফি। এরপর থেকে মোট পাঁচবার এই শহরে সারমেয়কের তাঁদের মেয়র হিসাবে বরণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও তাই করারই ইচ্ছা আছে।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion News Time চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।