আপনার সন্তানের আবদার কতটা শোনা উচিৎ? | মনোবিদ কি বলছেন | Mental Health Awareness | Dr. Kedar Ranjan Banerjee |
এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের নিজেদের ছোটবেলায় অনেক ভাই-বোন থাকায় সব জিনিসই অর্ধেক করে পেতেন। অর্থাৎ ছোট বেলায় বেশ কষ্টে বা যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু পেয়ে বড়ো হয়েছেন। কিন্তু ওই মানুষগুলোই যখন বড়ো হয়েছেন, বাবা-মা হয়েছেন তখন তারা চেষ্টা করেছেন নিজেদের সন্তানদের তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব কিছু যোগান দেওয়া। যার ফলে আজকাল ছেলে-মেয়েরা এমন অনেকেই আছেন যারা, কোনো কিছুরই মূল্য বোঝে না। তাই প্রতিটা বাবা-মা'র তার সন্তানের সব আবদার রাখা উচিৎ নয়। আসুন এই বিষয়ে একটা গল্প শোনা যায়।
• এক পাড়ায় পাশাপাশি দুই ভদ্রলোক থাকতেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আরেক জন এক বেসরকারি অফিসে চাকরিরত। তারা দুজনেরই জীবনযাপন সম্পূর্ণ আলাদা। যিনি চাকরি করেন তিনি রোজ সকালে মোটরসাইকেলে করে অফিসে যান। তবে এই দুজনের মধ্যে একটা বিষয়ে খুব মিল ছিল। তারা দুজনেই গাছ লাগাতে ভালোবাসতেন। তারা যেখান থেকে পারতেন ফুল গাছ এনে নিজেদের বাগানে বসাতেন। যিনি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ছিলেন তিনি গাছে যতটুকু জল দরকার দিতেন, যতটুকু সারা দরকার দিতেন। বেশি কোনো কিছুই দিতেন না। তার গাছগুলো সবুজ ছিল, কিন্তু খুব ধীরে ধীরে তারা বড়ো হচ্ছিলো। অন্যদিকে, চাকরিরত ভদ্রলোকটি গাছে অতিরিক্ত জল দিতেন, রাসায়নিক সারা দিতেন, ফলে তার গাছগুলো খুব উজ্জ্বল, সবুজ আর তরতাজা মনে হতো।
একদিন হঠাৎ রাতে খুব ঝড় হলো। পরেরদিন সকালে উঠে চাকরিরত ভদ্রলোক দেখলেন, তার গাছ গুলো মাটিতে পড়ে আছে আর অন্যদিকে ওই ভদ্রলোকের গাছগুলো সোজা হয়ে দাড়িয়ে আছে। তখন তিনি সেই শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার গাছগুলো কিভাবে দাঁড়িয়ে আছে? তার উত্তরে সেই শিক্ষক বলেন যে, আমি আমার গাছে যতটুকু দরকার ততটুকু জল দিয়েছি, বাকি জল ওরা ওদের তাগিদে মাটিতে আরও গভীরে শিকড় বিস্তার করে গ্রহণ করেছে। যতটুকু দরকার খাবার দিয়েছি, বাকি খাবার ওরা সূর্য্য থেকে গ্রহণ করেছে। তাই আজ তারা এতোতাই সবল যে, এই ঝড়কে প্রতিহত করতে পেরেছে।
আশা করি আপনাদের কাছে এই গল্পের অর্থ সম্পূর্ণ পরিষ্কার। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।