বর্তমানে ডিম একটি অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য, কিন্তু সঠিক ডিম খাচ্ছেন তো? কিভাবে বুঝবেন? জেনে রাখুন সঠিক উপায়। | Bidhan Saha

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও তা এখনও সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত হয়নি। প্রতিদিন আমরা এখনও খবরের কাগজ থেকে নানাবিধ ঘটনা পড়ছি এবং ভালো থাকার বিভিন্ন উপায় জানছি। সেক্ষেত্রে সকলেই কিন্তু জোর দিচ্ছে খাদ্যভ্যাসের ওপর। সঠিক খাবার গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারদের মতে এই সময়টা আমাদের সকলেরই বেশি করে প্রোটিন খাওয়া উচিৎ। শুধু এই সময়েই কেন, সারা বছর রোগ প্রতিরোধ করার জন্যে প্রোটিন খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের মধ্যে ডিম একটি অন্যতম উপাদান। সারাবছর শীত হোক বা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা ডিম রোজ খাওয়া উচিৎ। তবে ইদানিং একটা খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে এবং খবরের কাগজে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে,  আসল ডিম-নকল ডিম। এই নকল ডিম কি দিয়ে তৈরী হচ্ছে বা কেনই বা তৈরী হচ্ছে আমরা কেউ জানিনা। আর এই ডিম বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই খেতে ভালোবাসি। তবে আমরা কীভাবে বুঝবো কোনটা আসল ডিম আর কোনটা নকল ডিম!

• আসল ডিম চেনার কয়েকটি উপায়:

১) বড় ডিম মানেই ভালো আর ছোটো ডিম মানেই খারাপ এই ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসুন। যে গুলো আসল ডিম নয় সে গুলো খোলাটা চকচকে হয়। আসল ডিমের খোলা অতটা চকচকে হয়না।

২) খোলাটা শক্ত হয়, সামান্য টোকা দিলে তা ভেঙে যায়না। এছাড়া এই ডিমগুলির কুসুম হলুদ হয়না, সাদাটে রঙের হয়।

eggs-gad02dffc7_1920_0.jpg

৩) ডিমটা ফাটিয়ে একটা পাত্রে ঢালার পর আসল ডিম হলে তার কুসুমটা ছড়িয়ে না গিয়ে এক জায়গায় থাকে। অন্যদিকে নকল ডিম হলে তার ক্ষেত্রে কুসুমটা পাত্রে ঢাললেই তা ছড়িয়ে পড়ে  পাত্রে।

৪) নকল ডিমগুলো সিদ্ধ করে ছাড়ালে দেখা যাবে যে তার গায়ে একটা প্লাস্টিকের মত পাতলা চামড়া থাকে। এছাড়াও এই ডিমগুলো খুব সহজেই যে কোনো গন্ধ শোষণ করে নেয়। এবং রান্না করলেও এই গন্ধ যায় না।

fried-egg-gaad63b40f_1920_0.jpg

৫) বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, আসল ডিম কানের সামনে নাড়ালে কুসুম নোড়ার কোনো আওয়াজ হয়না। অন্যদিকে ডিম নকল হলে তা নাড়িয়ে দেখলেই বোঝা যাবে যে কুসুম নড়ছে।

৬) আসল ডিমের খোলাটা মসৃন হয় কিন্তু নকল ডিমের খোসার গায়ে হাত দিয়ে দেখলে বোঝা যাবে তা খসখসে।

egg-gec8bcf0e1_1920_0.jpg

৭) ধরুন আপনি ডিম দিয়ে কোনো রান্না করছেন যেমন, ডিমের পুডিং বানাচ্ছেন বা কাবাবের ক্ষেত্রে বাইন্ডিং হিসাবে ব্যবহার করছেন, সেক্ষেত্রে সেই জিনিসটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা ঠিক তৈরী হচ্ছে না।

৮) আবার দেখা যায় যে, ডিম ভাজার পর ডিমের যে সুন্দর গন্ধ থাকে সেটা বেরোচ্ছে না বা ডিম ভাজার পর ডিমের যে স্তরগুলো থাকে সেগুলো সাদাটে।

বন্ধুরা উপরিক্ত আলোচনা থেকে আমরা কিন্তু বুঝতে যে আমাদের ডিম কেনার ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক থাকতে হবে। চেষ্টা করুন স্থানীয় দোকান থেকে পোল্ট্রির ডিম কিনুন। ডিম ছোটো হোক কিন্তু আসল হোক। যেখান থেকেই ডিম কিনুন না কেন সেই ব্যবসায়ী বা স্থানীয় ডিম সরবরাহক যেন নির্ভরযোগ্য হয়।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
মণিদীপা গায়েন
ll