বর্তমান যা পরিস্থিতি আমরা তাতে প্রায় সকলেই ভীতসন্ত্রস্ত। এই বুঝি মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে গেলাম। আর এই ভয়ের জন্যেই আমরা অফিসে, কলেজে সর্বত্র হাতে বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করছি। যতটা সম্ভব হাত সহ সমস্ত শরীরকে আমরা জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা বাজারজাত যেসমস্ত সব্জি বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব কিনে আনছি সেটা কে কিভাবে জীবাণুমুক্ত করবো? জলে ধুয়ে নেওয়া ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা আরও কিছু সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতির কথা বলছেন। 

— বাজারজাত সব্জি বা অন্যান্য জিনিসকে  জীবাণুমুক্ত করার পদ্ধতি:

• দেখুন বন্ধুরা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গাজর ইত্যাদি যে সমস্ত সব্জিগুলো বাজার থেকে এনে কয়েকদিন ফেলে রাখা যায় বা সহজে পচে যায় না, সেসমস্ত সব্জিগুলো কে বাজার থেকে এনে খোলা জায়গায় দু-তিনদিন রোদের মধ্যে রেখে দিন।

• বাজার থেকে যে সব্জি কিনে আনছেন সেগুলো খোসা ছাড়ানোর আগে যেমন ধুয়ে নিচ্ছেন তেমনি খোসা ছাড়ানোর পরও ধুয়ে নিন।

• বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, যে সমস্ত সব্জি বা ফল আমরা খোসাসহ খাই সেগুলো এই মুহূর্তে খোসাটা একটু এড়িয়ে চলাই উচিৎ।

• সব্জি যেমন রানিং ওয়াটারে ধোয়া উচিৎ তেমনি সাবান জলে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু অনেক সব্জি সাবান জলে ধোয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পটাশিয়াম পার্মাঙ্গানেট বা পটাশ মিশ্রিত জলে সব্জি ধুয়ে নিন কিংবা বেকিং সোডা জলের মধ্যে ফেলে সেই জল দিয়ে সব্জি ধুয়ে নেওয়া যায় তাহলে সব্জি ভালো থাকে এবং জীবাণুমুক্ত হয়। 

• আপনারা যে সব্জিগুলো অনলাইনে কিনছেন সেগুলো বাড়িতে এলে, বাড়ির বাইরে দুটো বালতি রাখুন। একটায় পটাশ জলের দ্রবণ এবং অন্যটায় সাধারণ জল রাখুন। সব্জি গুলো পটাশ দ্রবনে ডুবিয়ে তারপর সাধারণ জলে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ব্যবহার করুন।

• এছাড়া বর্তমানে বাজারে সব্জি জীবাণুমুক্তকরণের জন্যে বিভিন্ন তরল বা স্প্রে পাওয়া যায়। সেগুলো দিয়েও আপনি সব্জি ধুতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে দেখে নেবেন কোনো রকম পার্শপ্রতিক্রিয়া যেন না হয়। তবে এক্ষেত্রে একটা উপদেশ একটু মাথায় রাখবেন যে, ফল আমরা খোসাসহ খাই ফলে সেক্ষেত্রে এই ধরণের স্প্রে ফলে ব্যবহার না করাই ভালো। আর যদিও ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে ভালো করে মুছে তারপর সেই ফল খাওয়া উচিৎ।

বন্ধুরা যদি এত পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব নাও হয় তাহলে অন্তত রানিং ওয়াটারে সব্জি একবার, দুবার তিনবার ধুয়ে তারপর ব্যবহার করুন। সুতরাং, বন্ধুরা দেখছেন তো একটু সাবধানতা আর সতর্কতা অবলম্বন করলেই আমরা অনেকটা ভালো থাকতে পারি। তাহলে বন্ধুরা জমিয়ে রান্নাবান্না করুন আর নির্ভয়ে খাওয়া-দাওয়া করুন।