৪-৬ মাসের বাচ্চাকে কি কি ধরণের খাবার খাওয়ানো উচিৎ? | Weaning Food | Indrani Ghosh—Dietician

আজ আমরা জানবো যে Weaning Food জিনিসটা কি এবং এটা কখন কিভাবে খাওয়ানো উচিৎ। যারা নতুন নতুন মা'য়েরা বুঝতে পারেন না যে বাচ্চাকে কখন এই Weaning Food কখন খাওয়ানো হবে। ৬ মাস পর যখন নতুন নতুন খাবার আমরা বাচ্চাদের খাওয়াতে শুরু করি তখন তাকে বলা হয় Weaning Food।

বাইরের খাবার না খাইয়ে বাচ্চাদের যদি ঘরের জিনিস দিয়েই উইনিং ফুড তৈরী করি তাহলে সেটা অনেক ভালো হয়। একটু চাল, গম দিয়ে ঘরোয়া খাবার বানিয়ে যদি খাওয়ানো হয় তা উপযুক্ত উইনিং ফুড হবে। শুধু খাবারই নয়, যে পাত্রে খাবার তৈরী করছেন সেটাও যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয় এবং যিনি করছেন রান্নাটা তিনিও যেন পরিষ্কার থাকেন।

 

• উইনিং ফুড বলতে প্রথমেই আমরা ডাল ভাত দিয়ে শুরু করি। তারপর আসে কুমড়ো, মিষ্টি আলু কারণ এগুলোর মধ্যে একটা স্বাদ থাকে যা বাচ্চারা তাড়াতাড়ি খেতে চেষ্টা করে। আর যখন খাওয়াবেন তখন চেষ্টা করবেন যে খাবারটা খাওয়াচ্ছেন সেটা টানা পাঁচ দিন খাওয়ান তারপর একটা নতুন খাবার খাওয়ানো শুরু করুন। এতে আপনি বাচ্চার ওই খাবারের প্রতি প্রতিক্রিয়া বুঝতে পারবেন। যদি কোনো খাবারে তার এলার্জি হয়ে তাহলে সেই খাবারটা বাদ দেওয়া যাবে।

 

• প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, মাছ এগুলো বাচ্চাদের ৬ মাস নয় আরও একটু পড়ে যেমন ৮-৯ মাসে খাওয়ানো উচিৎ। যেমন ধরুন ডিমের সাদা অংশটা আগে টানা পাঁচদিন খাওয়াবেন তারপর ডিমের কুসুমটা খাওয়ান। যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। সকালের দিকে একটু সুজি বা পুন্ডিং জাতীয় কিছু আবার চারটে বিস্কুট জলে বা দুধে গুলে দেওয়া যেতে পারে। দুপুরে ভাত ডাল মাছ লাউ পেঁপে যেগুলো সহজে পেস্ট করা যায় সেগুলো খাওয়ান। রাতে আদর্শ খাবার হলো দুধ রুটি। দুধের সাথে রুটির ওপরের অংশটা মিশিয়ে খাওয়ান।

 

• অনেকে মনে করেন যে, বাচ্চা খাবে না নোংরা করবে। বাচ্চা তো প্রথমে খেতে গেলে নোংরা করবেই। আর বাচ্চা যদি না খায় তাহলে হাল ছেড়ে দেবেন না। টানা তাকে রোজ খাওয়ান। বড়োরা যখন এক সাথে খেতে বসবে তখন যেন বাচ্চাকেও একসাথে বসানো হয়। তাহলে বাচ্চারা বুঝতে পারবে যে কিভাবে খেতে হয় বা কিভাবে রুটিটা ছিঁড়তে হয়।

 

• বাচ্চারা সব সময় দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেনা। তাই তাদের এই উইনিং ফুড খাওয়ানো দরকার। আর যত তাড়াতাড়ি এবং যত ভালো ভাবে উইনিং করানো হবে সেটাই বড়ো বয়সে বজায় থাকবে। এবং উইনিং ফুড যত খাওয়ানো হবে তত বাচ্চার জিভের ঠোঁটের চলাচল বাড়বে। চেষ্টা করুন একটু সুপ্ জাতীয় খাবার দিতে, যেমন পালং শাক দিয়ে বা অন্যান্য সব্জি দিয়ে সুপ্। বা ফল খাওয়ান। যা বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যাকে দূর করবে।

 

এই Weaning Food বাচ্চার শরীর এবং মস্তিস্ক বিকাশের ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আর ঠিক সময় ঠিক ভাবে বাচ্চার ডায়েট মেনে চললে আপনার বাচ্চা সুস্থ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
মণিদীপা গায়েন
ll