Vaccination বা টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা কি? কি কি টিকা নেওয়া আবশ্যক? | Vaccination | Dr. Shamik Ghosh |
অনেকেই জানতে চান যে, টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা কি! বা টিকাকরণ কেন দরকার। এক্ষেত্রে টিকাকরণ সেই সব রোগের ক্ষেত্রেই করা হয়, যেখানে রোগীর নিশ্চিত মৃত্যু বা নিশ্চিত অক্ষমতা দেখা যায়। আজকের দুনিয়ায় দাঁড়িয়েও যদি কাউর টিটেনাস হয় বা খারাপ রকম হেপাটাইটিস হয় তাকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে পরে। ১৯৭৮ সালে প্রথম টিকাকরণ শুরু হয়েছে। আর এই টিকাকরণ ক্রমশ বাড়ছে, বর্তমানে ভারতবর্ষে কিছু টিকাকরণ আমাদের পৃথিবী থেকে কিছু রোগকে সম্পূর্ণ নিরাময় করেছে। যেমন, পোলিও, স্মল পক্স এগুলো সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। একই ভাবে চেষ্টা চলছে ডিপথেরিয়া, সোয়াইন ফ্লু, জাপানি এনকেফেলাইটিস, টিটেনাসের মত অসুখকে নির্মূল করা।
এই ধরণের নতুন টিকাগুলো যাতে সবাই পায় তার জন্যে সরকার যেখানে পোলিও দিচ্ছে, বিসিজি দিচ্ছে সেখানেই এই নতুন টিকাগুলো দিলে ভালো হয়। তাই আজ এই রকমই দুটি নতুন টিকা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। দুটি টিকা হলো, ডায়রিয়া এবং মারাত্মক নিউমোনিয়া। ডায়রিয়ার টিকা পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছে। আশা করা যায় ২০২১এর মধ্যেই নিউমোনিয়ার টিকাটাও পশ্চিমবঙ্গে চলে আসবে। পৃথিবীতে যত ডায়রিয়ার কেস আছে তার মধ্যেই ৬০-৭০% কেস রোটা ভাইরাসের জন্যেই হয়। তবে ভারতবর্ষে রোটি ভাইরাসের যে টিকাটি প্রচলিত ছিলো সেটা বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। কিন্তু এখন ড. ভানের দক্ষতায় স্থানীয় ভাইরাস তৈরী করা হয়েছে। যেখানে টিকাকরণ করা হয় সেখানে আপনি যদি চান তাহলে বিনামূল্যে আপনার বাচ্চাকে এই টিকা দেওয়া হবে।
আর একটি রোগ যার জন্যে ৫ বছরের থেকে কম বয়সী বাচ্চাদের মৃত্যু ঘটে সেটা হলো নিউমোনিয়া। আর এই নিমোনিয়ার প্রধান যে জীবাণু তার নাম হলো নিউমো কাককাস। নিউমোনিয়ার যে ঠিকাটি ভারতে প্রচলিত ছিলো সেটি মূলত বেসরকারি ক্ষেত্রেই পাওয়া যেত। যা ভারতের যে মোট জনসংখ্যা তার ২% কেও দিতে পারতো না। তবে সরকারি সহায়তায় এই ভ্যাকসিন বিহার, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে প্রচলিত হয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে ২০২১ সালের মধ্যে এই টিকা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ক্ষেত্রে প্রচলিত হবে।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।