বয়স বাড়লে আমাদের মেয়েদের সবারই মুখে কম-বেশি বলিরেখার চাপ পড়ে। চল্লিশ পেরোলেই ত্বকের চামড়া উজ্জ্বলতা হারায় এবং চামড়া কুঁচকে যায়। তখন আমরা সবাই না হলেও অনেকেই পার্লারে যাই মাসে মাসে। কিন্তু সবার পক্ষে পার্লারে যাওয়ার সাধ্য থাকে না। তবে কিভাবে ঘোরায় উপায় এবং কম খরচে অ্যান্টি এজিং মাস্ক তৈরী করে ব্যবহার করবেন! আসুন সে বিষয় আলোচনা করার যাক।

• শুষ্ক ত্বকের (Dry Skin) জন্যে:

এক চামচ ডিমের কুসুম, একটু ব্যসন, এক চামচ মধু, এক চামচ টক দই আর এক চামচ বাদাম তেল। এই মিশ্রণটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি থকথকে আঠার মত হয়ে গেলে তখন মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রাখুন, তারপর হাল্কা গরম জল বা এমনি জলে ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে এক থেকে দু দিন করুন।

• তৈলক্ত ত্বকের (Oily Skin) জন্যে:

একটা গাজর ভালো করে পেস্ট করে নিন। তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর একটু শক্ত হয়ে গেলে সেটাকে বের করে, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে মুখে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক থেকে দু দিন করুন।

• স্বাভাবিক ত্বকের (Normal Skin) জন্যে:

এক চামচ মধু, এভোগাড্রো আর এক চামচ ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। আর তারপর দশ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুদিন করুন।

• সেনসিটিভ ত্বকের (Sensitive Skin) জন্যে:

পাকা কলা, এক চামচ ওটস মিল্ক, এক চামচ মধু আর একটু খানি ডিম। ভালো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। তারপর দশ মিনিট পরে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক থেকে দুদিন করুন।

• সব ধরণের ত্বকের (All Skin Type) জন্যে:

এক চামচ মধু, সাথে lavender essential তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক থেকে দুদিন করুন।

তাহলে বন্ধুরা দেখতেই পারচ্ছো তো কত ছোট্ট ছোট্ট ঘরোয়া উপায় দিয়ে আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল আর সুন্দর রাখতে পারি। রোজ রোজ পার্লারে যাওয়ার দরকারও নেই।