কিছু কাল্পনিক বিশ্বাসকে মানবার আগে একটু যাচাই করে দেখুন। | মনোবিদ কি বলছেন | Dr. Kedar Ranjan Banerjee

আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই কম-বেশি কিছু বিশ্বাস পারিবারিক পরম্পরা অনুসারে চলে আসছে। এই যেমন ধরুন রবিবার মানেই সকালের জলখাবারে লুচি আর সাদা আলুর তরকারি খাওয়া। হয়তো খেয়াল করলে দেখবেন যে, আপনার বাবা তার বাবা এভাবেই হয়তো রবিবার সকালে লুচি আলুর তরকারি খাওয়ার একটা চল ছিলো আর সেটাই আপনি এবং আপনার পরবর্তী প্রজন্ম বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই আমরা অনেক বিষয়কে পারিবারিক পরম্পরা হিসাবে বয়ে নিয়ে যাই।

একটা গল্প শুনুন। একজন গুরুদেব মন্দির থেকে বেড়িয়ে দেখলেন একটা বিড়াল বসে আছে। তিনি তাকে কোলে তুলে নিলেন এবং তাকে দুধ খাওয়ালেন। এভাবেই রোজ তিনি তাকে দুধ খাওয়াতেন। আস্তে আস্তে বিড়ালটি গুরুদেবের সঙ্গী হয়ে উঠলো। তার অধিকার বৃদ্ধি পায়। সে সারাক্ষন গুরুদেবের সঙ্গে থাকে। তিনি ধ্যানে বসলে সে তার গায়ে উঠে যেত, তার কোলে শুয়ে পড়তো। ফলে গুরুদেবের ধ্যানে অসুবিধা হত। তখন তিনি একদিন এক শিষ্যকে ডেকে বললেন যে, আমি যতক্ষণ ধ্যানে থাকবো ততক্ষণ ওকে গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখবি। এরপর থেকে যখনি গুরুদেব ধ্যানে বসতেন ওই বিড়ালটিকে বেঁধে রাখা হত এবং এটা একটা নিয়ম হয়ে গেলো। একদিন গুরুদেব মারা গেলেন, তখন তারই অন্য এক শিষ্য গুরুদেবর স্থান নিলেন। তিনিও ধ্যানে বসার সময় ওই বিড়ালটিকে গাছে বেঁধে রাখতেন। একদিন বিড়ালটিও মারা গেলো। তখন ওই শিষ্যরা পরম্পরা অনুযায়ী আরেকটি বিড়াল নিয়ে এলেন। এভাবেই চলতে থাকলো।

mythology-g34838f5a2_1920_0.jpg

কিন্তু এর অন্তর নিহিত বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। গুরুদেবকে বিড়ালটি জ্বালাতন করতে বলেই তিনি তাকে বেঁধে রাখতেন। আমরা এভাবেই অনেক বিষয় সম্পর্কে সত্যতা যাচাই না করেই দীর্ঘদিন ধরেই মেনে আসছি। তাই একটু যাচাই করে দেখুন, যা মানছেন যা শুনছেন তার পিছনে যৌক্তিকত কতটা।

সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের Bengal Fusion চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।

অনুলিখন: 
মণিদীপা গায়েন
ll