কিভাবে ধরে রাখবেন ত্বকের বয়স...দেখে নিন চট করে।
আজকে একটা ম্যাজিক নিয়ে কথা বলবো। এমন একটা ম্যাজিক যার স্বপ্ন আমরা প্রত্যেকে দেখি। আমাদের ত্বক সব সময় থাকবে তরুণ। এটা আমরা কে না চাই ? কিন্তু সব ক্ষেত্রে কি সেটা আমরা পাই? তবে কারো কারো ক্ষেত্রে সত্যিই আমরা দেখতে পাই বয়স বেড়ে গেলেও ত্বক একেবারে নবীন। আবার অনেকের অল্প বয়সেই ত্বক একেবারে বুড়িয়ে যায়। কিন্তু কেন হয় এমন সেই কারণগুলো তো আমাদের জানতে হবে তা না হলে আমরা যত্ন নেব কি করে। প্রথমেই বলব সূর্যালোকের কথা। সূর্যের প্রখর তাপ আমাদের বয়স বাড়িয়ে রাখতে একধাপ এগিয়ে রাখে। যদি দিনের বেশিরভাগ সময়টা আমরা সূর্যালোকের সামনে থাকে সে ক্ষেত্রে ত্বক খুব দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই কারণে অনেকের গালে কালো কালো স্পট বা দাগ দেখতে পাওয়া যায়। যেগুলোকে আমরা মেচেতা বলি। এক্ষেত্রে সূর্যালোক হলো ত্বকের সব থেকে বড় শত্রু। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার। অনেকেই রয়েছেন যারা বাড়িতে থাকেন অথচ সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না। বাড়িতে থাকলেও কখনো কখনো সূর্যের তাপ আমাদের ত্বক পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে অসাবধানতা বশত তাই বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তাঁর অন্যতম কারণ হয়েছে রান্না করার সময় যে তাপ আমাদের শরীর পায় তা সূর্যালোকের সমান। তাই নারী-পুরুষ সবক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। বাইরে বেরোনোর মিনিট ১৫ আগে এই ক্রিম মাখা উচিত।
দ্বিতীয় হলো আমরা অনেকেই নিয়মিত স্ক্রাবিং করিনা। আমাদের ত্বকে একটি ডেড স্কিন সেল থাকে। এবং সেটি পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হলো স্ক্রাবিং করা। মাঝে মধ্যে একটু সময় করে পরিষ্কার রাখতে হয় এই ডেড স্কিন সেল। তা না হলে আমাদের ত্বক বিবর্ণ লাগে। সপ্তাহে একবার অথবা দুবার স্ক্রাবিং করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাইরের স্ক্রাবিং ব্যবহার না করলে বাড়িতে বানিয়ে নিন ঘরোয়া উপাদান দিয়ে। টমেটোর মধ্যে ছোট দানার চিনি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া স্ক্রাবিং। আলতো হাতে মুখের মধ্যে হাল্কা মাসাজ করলেই বিবর্ণ ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে চোখের নিমেষে।
তৃতীয় ধাপে মনে রাখতে হবে খাওয়া-দাওয়া মেপে করতে হবে। খাদ্য তালিকা তে অবশ্যই রাখতে হবে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ফলমূল। যত বেশি এই সব উপাদান খাওয়া যাবে ততো বেশি ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে সবুজ শাকসবজি তারা অনেক বেশি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী। ভিটামিন এ, ই এবং সি ইত্যাদি উপাদান যুক্ত খাবার যদি খাওয়া যায় তাহলে ত্বক কথা বলবে।
এবার বলব জলের কথা। অনেক রোগের উপশম করে জল। আমরা অনেকেই পরিমাণমতো জল খাইনা। পর্যাপ্ত জল খেলে ত্বক নিজে থেকেই স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে। বেশি চর্চার প্রয়োজনীয়তাই পরবেনা। আমাদের শরীরে তৈরি হওয়ার টক্সিক জল বের করে দিতে সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন বের হতে না পারলে তার প্রভাব ত্বকের উপরেই পরে। তাই পরিমিত জল খাওয়া ভীষণভাবে প্রয়োজন।
সবশেষে বলি ধূমপানের কথা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছেলেরা এবং মেয়েরা উভয়ই ধূমপান করেন। এই ধূমপান হলো বিবর্ণ ত্বকের জন্য দায়ী। যারা ধূমপান বেশি করে তাদের ত্বক কিন্তু বিবর্ণ হয়। যদি ধূমপানের পরিমাণ কমানো যায় বা নিজের উপর একটু বেশি যত্ন নেওয়ার জন্য যদি আমরা ছেড়েও দিই তাহলে ভালো বই কি ক্ষতি হবে না।
এই ছোট্ট ছোট্ট নিয়মগুলো মেনে চললেই ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠবে। বাইরের কোনও উপাদানের প্রয়োজন পড়বে না ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল বানানোর জন্য।
সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। এই বিষয়ে আরও বিশদে জানতে আমরাদের BENGAL FUSION Beauty Secrets চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করুন এবং নীচে দেওয়া ভিডিওর লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন।